যুক্তরাষ্ট্রে বিমানবন্দরে যাত্রীদের পোশাক নিয়ে নতুন করে তর্ক–বিতর্ক শুরু হয়েছে। মার্কিন পরিবহনমন্ত্রী শন ডাফি যখন যাত্রীদের ‘সম্মানজনক ও ভালো’ পোশাক পরার পরামর্শ দিলেন, তখন অনেকেই সেটিকে সীমা অতিক্রম বলা শুরু করেন। প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে অনেকে সরাসরি পায়জামা পরে বিমানবন্দরে হাজির হচ্ছেন।
ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন গত নভেম্বর থেকে ‘দ্য গোল্ডেন এজ অব ট্রাভেল স্টার্টস উইথ ইউ’ নামে একটি প্রচারণা চালাচ্ছে। লক্ষ্য—বিমান ভ্রমণে শালীনতা, সৌজন্য ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা। এক সংবাদ সম্মেলনে ডাফি বলেন, জিনস আর পরিষ্কার শার্টই যথেষ্ট। তবে অন্তত স্লিপার আর পায়জামা পরে যেন বিমানবন্দরে না আসা হয়। তাঁর মতে, ভালো পোশাক মানুষের আচরণকেও ভদ্র করে।
ডাফির বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। টিকটক, এক্সসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে অনেকে বিষয়টিকে অতিরঞ্জিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত নির্দেশনা হিসেবে দেখছেন। ডেমোক্রেটিক অ্যাকটিভিস্ট জনি পালমাদেসা পায়জামা পরে একটি ভিডিওতে বলেন, এই প্রশাসনের অগ্রাধিকার ঠিক পথে নেই। তাঁর দাবি—ট্রাম্প ও ডাফির উচিত আগে বিমানভাড়া ও ভ্রমণ ব্যয় কমানো, যাতে মানুষ চাইলে সুন্দর পোশাক কিনতে পারে।
আরেকজন টিকটক ব্যবহারকারী পায়জামা পরে বিমানবন্দরে যাওয়ার ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন, ‘যেহেতু নিষেধ করা হয়েছে, এখন অবশ্যই পায়জামা পরেই যাব!’
বিতর্ক চললেও মার্কিন পরিবহন দপ্তর এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি।
এদিকে বিভাগটি নতুন প্রচারণার পক্ষে ২০১৯ সালের পর অসদাচরণকারী যাত্রীসংখ্যা বৃদ্ধির তথ্য তুলে ধরেছে। তাদের হিসেবে গত চার বছরে যাত্রীদের বিশৃঙ্খল আচরণের প্রায় ১৪ হাজার ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে, যা আগের তুলনায় ৪০০ শতাংশ বেশি।
সূত্র: ইনডিপেনডেন্ট, ওয়াশিংটন পোস্ট
বিডি প্রতিদিন/আশিক