জার্মানিতে নতুন সামরিক সেবা আইনের বিরুদ্ধে শুক্রবার হাজারো শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষ ছেড়ে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে। আইনে ১৮ বছর বয়সী পুরুষদের জন্য বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং প্রশ্নাবলি পূরণ করার নিয়ম রাখা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি (এএ) তাদের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়, “স্কুল স্ট্রাইক অ্যাগেইনস্ট মিলিটারি সার্ভিস” নামে একটি উদ্যোগের ব্যানারে এই বিক্ষোভ আয়োজন করা হয়। হামবুর্গ, বখুম, বিলেফেল্ড, মুনস্টার, কোলন, ডুসেলডর্ফ ও স্টুটগার্টসহ ৯০টিরও বেশি শহরে একযোগে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
বার্লিনে হ্যালেশেস টর মেট্রো স্টেশনের কাছে তিন হাজারের বেশি শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে ওরানিয়েনপ্লাটজ পর্যন্ত মিছিল করে। এ সময় তারা হাতে ব্যানার নিয়ে “বাধ্যতামূলক সামরিক সেবা নয়”, যুদ্ধ ও পুনরায় অস্ত্রীকরণের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা, আমাদের ভবিষ্যৎ আমাদেরই এবং আমরাই সিদ্ধান্ত নেব”—এমন নানা স্লোগান তোলে।
একই সময়ে একটি ছোট দল সংসদ ভবনের সামনেও বিক্ষোভ সমাবেশ করে, যখন ভেতরে আইনপ্রণেতারা বিলটি নিয়ে বিতর্কে অংশ নেয়। শেষ পর্যন্ত বুন্ডেস্ট্যাগে (জার্মান সংসদের নিম্নকক্ষ) বিলটি ৩২৩ ভোটে পাস হয়, বিপক্ষে পড়ে ২৭২ ভোট, আর একজন আইনপ্রণেতা ভোটদানে বিরত থাকেন। এখন বিলটি চলতি মাসের শেষদিকে অনুমোদনের জন্য জার্মানির উচ্চকক্ষ বুন্ডেসরাটে যাবে। অনুমোদন পেলে আইনটি কার্যকর হবে ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে।
এই সংস্কারের মূল লক্ষ্য হলো জার্মান সেনাবাহিনী দীর্ঘদিনের জনবল সংকট মোকাবেলা করা। বর্তমানে দেশটির সক্রিয় সেনা সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৮৪ হাজার। ন্যাটোর বাধ্যবাধকতা পূরণ করতে ২০৩৫ সালের মধ্যে এই সংখ্যা বাড়িয়ে প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজারে নেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এর জন্য প্রতিবছর প্রায় ২০ হাজার নতুন সেনা নিয়োগ প্রয়োজন।
নতুন ব্যবস্থার আওতায়, ২০০৮ সালের ১ জানুয়ারির পর জন্ম নেয়া সব পুরুষকে তাদের যোগ্যতা, শারীরিক সক্ষমতা ও সেনাবাহিনীতে আগ্রহ সংক্রান্ত প্রশ্নপত্র পূরণ করতে হবে এবং বাধ্যতামূলক চিকিৎসা পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। তবে নারীদের জন্য এই অংশগ্রহণ স্বেচ্ছামূলক রাখা হয়েছে। সূত্র: আনাদোলু
বিডি প্রতিদিন/নাজিম