ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অ্যারো ৩ সক্রিয় করেছে জার্মানি। বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জার্মান কর্তৃপক্ষ। এর ফলে ইসরায়েলের বাইরে প্রথম কোনো দেশ এই দীর্ঘ পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধক ব্যবস্থা মোতায়েন করলো।
বার্লিন একে ইউরোপের প্রথম দীর্ঘ-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা হিসেবে উল্লেখ করেছে। এই পদক্ষেপ ন্যাটোর প্রতিরক্ষা এবং জোটের কেন্দ্রে জার্মানির ভূমিকাকে আরও শক্তিশালী করবে।
জার্মান গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস নিশ্চিত করেছেন যে ইসরায়েলি এই ব্যবস্থা জার্মানি এবং এর অংশীদার দেশগুলিকে উচ্চ-উচ্চতার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের হুমকি থেকে গুরুত্বপূর্ণ সুরক্ষা দেবে। মন্ত্রী জার্মান প্রেস এজেন্সিকে (ডিপিএ) বলেন, এই ব্যবস্থা প্রথমবারের মতো দীর্ঘ-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র থেকে আমাদের জনসংখ্যা এবং অবকাঠামোকে আগাম সতর্কতা এবং সুরক্ষা দেওয়ার সক্ষমতা এনে দেবে। তিনি আরও যোগ করেন, এই কৌশলগত সক্ষমতা ইউরোপীয় অংশীদারদের মধ্যে অনন্য এবং এটি জার্মানির ভূখণ্ড রক্ষার পাশাপাশি ন্যাটো মিত্রদের প্রতিরক্ষায়ও অবদান রাখবে।
ইসরায়েলের সাথে ৩.৬ বিলিয়ন ইউরো মূল্যের চুক্তির অধীনে এই অ্যারো ৩ সংগ্রহ করা হয়েছে। এই ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে ভূমি থেকে ১০০ কিলোমিটার উচ্চতায় বাধা দিতে সক্ষম। যা জার্মানির বিদ্যমান ব্যবস্থার সক্ষমতার তুলনায় অনেক বেশি। রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র অস্ত্রাগার নিয়ে বার্লিনের ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ এবং ন্যাটোর মূল্যায়নের পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সূত্র: টিআরটি
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল