পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগে ভারতে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার নাম রিজওয়ান। তিনি পেশায় একজন আইনজীবী। কাজ করতেন হরিয়ানার গুরুগ্রাম আদালতে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, রিজওয়ান পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা ‘আইএসআই’-এর হয়ে কাজ করতেন। এমনটাই সন্দেহ তদন্তকারীদের। সেই অভিযোগেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর আগে একই অভিযোগে এই আইনজীবীর বন্ধু মোশারফকেও হরিয়ানার নুহ থেকে গ্রেফতার করা হয়। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, রিজওয়ানের দু’টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। অর্থ সংগ্রহ করতে অন্তত সাতবার অমৃতসরে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কেন অর্থ সংগ্রহ করছিলেন, তা স্পষ্ট নয়।
মোশারফ তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, সোহনা আদালতে ২০২২ সালে ইন্টার্নশিপ করার সময় তার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল রিজওয়ানের। এসময় তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে বন্ধুত্ব। পরে মোশারফ নুহ আদালতে আইনি প্র্যাকটিস শুরু করেন। আর রিজওয়ান গুরুগ্রামে প্র্যাকটিস করতেন। তবে দু’জনের মধ্যে বন্ধুত্ব অটুট ছিল। কয়েকবার তারা দু’জনে একসঙ্গে ঘুরতেও গিয়েছিলেন।
মোশারফ পুলিশকে আরও জানিয়েছেন, তিনি আর রিজওয়ান গত জুলাই মাসে অমৃতসরে ওয়াঘা সীমান্তে গিয়েছিলেন। তারপরে যান স্বর্ণমন্দিরে। সেখানেই কয়েকজনের থেকে একটি রুপি (ভারতীয় মুদ্রা) ভর্তি ব্যাগ সংগ্রহ করেন রিজওয়ান। তবে তারা কারা তা শনাক্ত করতে পারেননি মোশারফ। গাড়িতে করে অমৃতসর গেলেও ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তারা। ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাদের গাড়ি। ফলে পরবর্তীতে ট্রেনে করে ফিরতে হয় তাদের।
গ্রেফতারকৃত আইনজীবী মোশারফ আরও জানিয়েছেন, গত ১ আগস্ট রিজওয়ানের সঙ্গে তিনি আবার অমৃতসর যান। তাদের গাড়িটিকে ফিরিয়ে আনার জন্য। রাতে একটি হোটেলে থেকে যান মোশারফ, তবে ফিরে যান রিজওয়ান। রুপি নিয়ে আবার ফিরে যাওয়ার আশ্বাসও দিয়েছিলেন তিনি। জেরার মুখে মোশারফ আরও জানান, রিজওয়ান বারবার অমৃতসর গিয়েছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল অর্থ সংগ্রহ করা।
তদন্তে যে দুই ব্যাংক অ্যাকাউন্টের কথা জানা যায়, তার মধ্যে একটি কয়েক মাস আগে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কারণ, ওই অ্যাকাউন্টে রুপি জমা থাকার নির্দিষ্ট পরিমাণ অতিক্রম করেছিল। তদন্তকারীদের অনুমান, পাকিস্তানি হ্যান্ডলারদের থেকে হাওলার মাধ্যমে অর্থ ঢুকেছিল। আরও ধারণা, ওই অর্থ পঞ্জাবের জঙ্গি নেটওয়ার্ককে শক্তিশালী করতে কাজে ব্যবহার হয়েছিল। সূত্র: এনডিটিভি, দ্য উইক
বিডি প্রতিদিন/একেএ