গাজায় ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। শনিবারের ওই হামলায় গাজায় একই পরিবারের দুই ছেলে শিশু নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে যে তারা ‘তাৎক্ষণিক হুমকি সৃষ্টি করা’ দুই সন্দেহভাজনকে শনাক্ত কারার পর তাদেরকে হত্যা করা হয়। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
দুই ভাইয়ের চাচা এএফপিকে জানিয়েছেন, বালকদের বয়স আট এবং দশ বছর। তারা জ্বালানি কাঠের খোঁজে বেরিয়েছিল।
গাজা উপত্যকার তথাকথিত ইয়েলো লাইনের আশেপাশে এই মারাত্মক ড্রোন হামলার ঘটনাটি ঘটে। ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে মার্কিন-মধ্যস্থতায় ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতির অধীনে ইসরাইলি সেনাবাহিনী হলুদ রেখার পিছনে অবস্থান নিয়েছে।
গত ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে, ইয়েলো লাইন এলাকায় ইসরাইলি বাহিনীর গুলিবর্ষণের একাধিক প্রাণঘাতী ঘটনা ঘটেছে।
হামাস কর্তৃপক্ষের অধীনে উদ্ধারকারী বাহিনী হিসেবে কাজ করা গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থার মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল এএফপিকে জানিয়েছেন, দক্ষিণ গাজা উপত্যকার খান ইউনিসের পূর্বে বানি সুহেইলায় স্থানীয় সময় সকাল ৮ টা ৩০ মিনিটে (০৬৩০ জিএমটি) ইসরাইলি ড্রোন হামলায় দুই ভাই নিহত হয়েছেন।
বাসাল বলেন, তাদের একজনের নাম ফাদি এবং অপর জনের নাম জুমা তামের আবু আসি।
নিহত দুই ভাইয়ের চাচা আলা আবু আসি বলেন, তারা ছিল ‘নিষ্পাপ শিশু, তাদের কাছে কোনো রকেট বা বোমা ছিল না।’
তিনি এএফপিকে বলেন, ‘তারা জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করছিল।’
খান ইউনিসের নাসের হাসপাতাল শিশুদের মৃতদেহ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এবং জানিয়েছে যে বিকেলে তাদের পরিবার তাদের মৃতদেহ দাফন করেছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইয়েলো লাইন অতিক্রমকারী সন্দেহজনক কার্যকলাপ পরিচালনাকারী এবং দক্ষিণ গাজা উপত্যকায় কর্মরত আইডিএফ (সামরিক) সৈন্যদের কাছে পৌঁছানো দুই সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করা হয়। যা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর জন্য তাৎক্ষণিক হুমকি হয়ে দাঁড়ায়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, তাদেরকে সন্দেহভাজন হিসাবে চিহ্নিত করার পর আইএএফ (ইসরায়েলি বিমান বাহিনী) হুমকি দূর করার জন্য তাদেরকে হত্যা করে।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম