অবিরত প্রবল বৃষ্টির কবলে পড়ে অসহায় হয়ে পড়েছে ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলের বৃহত্তম দ্বীপ সুমাত্রার অধিবাসীরা। দ্বীপটিতে এখনও শতাধিক মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। এ অবস্থায় ভয়াবহতা কমাতে কৃত্রিম পদ্ধতিতে বৃষ্টি থামানোর উদ্যোগ নিয়েছে দেশটি।
কর্তৃপক্ষ বলছে, দ্বীপটির অনেক এলাকা বিশেষ করে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলোতে এখনো যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। উদ্ধার কাজ ও ত্রাণ পৌঁছানো যাচ্ছে না। এসব এলাকায় হাজারো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন, অনেকেই ঘরের ছাদ থেকে উদ্ধারের জন্য অপেক্ষা করছেন।
জাতীয় দুর্যোগ সংস্থার প্রধান সুহারিয়ান্টো সংবাদ সম্মেলনে জানান, পশ্চিম সুমাত্রায় বৃষ্টি কমানোর জন্য ক্লাউড সিডিং অভিযান শুরু করা হবে। যদিও শনিবার বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে এসেছে।
ইন্দোনেশিয়ায় উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, সুমাত্রার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছাতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। শুধু ওই এলাকায় এখনও শতাধিক মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন।
অন্যদিকে, উত্তর সুমাত্রায় আরও ১১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, আর আচে প্রদেশে কমপক্ষে ৩৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে। বন্যা ও ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ২০০ ছাড়িয়েছে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় নভেম্বরের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সপ্তাহ থেকে প্রবল মৌসুমী বৃষ্টি শুরু হয়। এতে বন্যা ও ভূমিধসের ফলে মৃতের সংখ্যা শনিবার পর্যন্ত ৩৫০ ছাড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, ক্লাউড সিডিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে মেঘের পানির কণাগুলোকে প্রভাবিত করে বৃষ্টি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়। এর মাধ্যমে বৃষ্টির পরিমাণ কমানো বা বিরতি দেওয়া সম্ভব, পাশাপাশি বৃষ্টিপাতের এলাকা পরিবর্তনের চেষ্টা করা যায়।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
বিডি-প্রতিদিন/এমই