ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডকে (আইআরজিসি) রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে অস্ট্রেলিয়া। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছেন।
গোয়েন্দা মূল্যায়নের ভিত্তিতে বলা হয়েছে, আইআরজিসি অস্ট্রেলিয়ার ইহুদি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে হামলাগুলো সমন্বয় করেছিল। গত আগস্টে সিডনি ও মেলবোর্নে সংঘটিত দুটি ইহুদিবিরোধী অগ্নিসংযোগ হামলার নির্দেশনায় ইরানের সম্পৃক্ততা অভিযোগ আনা হয়েছিল এবং তেহরানের রাষ্ট্রদূতকে সাত দিনের মধ্যে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথম।
গত আগস্টে প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ অস্ট্রেলিয়ার অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানকে সঙ্গে নিয়ে প্রকাশ্যে বলেন, আইআরজিসি ২০২৪ সালের অক্টোবরে সিডনির ‘লুইস’ কন্টিনেন্টাল কিচেন’ রেস্তোরাঁয় এবং ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে মেলবোর্নের আদাস ইসরায়েল সিনাগগে অগ্নিসংযোগ হামলাগুলো পরিচালনা করেছিল।
অস্ট্রেলিয়ার অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা এএসআইও জানায়, আইআরজিসি ‘প্রক্সিদের একটি জটিল নেটওয়ার্ক’ ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছিল। হামলার উদ্দেশ্য ছিল ইহুদি অস্ট্রেলীয়দের লক্ষ্য করে ক্ষতি ও ভয় সৃষ্টি করে সমাজে বিভাজন।
এর জবাবে অস্ট্রেলিয়া ‘ক্রিমিনাল কোড অ্যামেন্ডমেন্ট (স্টেট স্পনসরস অব টেররিজম) অ্যাক্ট ২০২৫’ পাস করে, যা বিদেশি রাষ্ট্রীয় সত্তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার নতুন কাঠামো তৈরি করেছে। এই কাঠামোর অধীনে আইআরজিসিই প্রথমবার রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে তালিকাভুক্ত হলো।
এই হামলাগুলোর জবাবে দেশটির সরকার ‘ক্রিমিনাল কোড অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট ২০২৫’ পাস করে, যার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার একটি নতুন কাঠামো তৈরি করা হয়েছে। নতুন এই আইনের আওতায় সরকার এমন কোনো বিদেশি রাষ্ট্রীয় সত্তাকে তালিকাভুক্ত করতে পারবে, যারা ‘অস্ট্রেলিয়াকে লক্ষ্য করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল, অথবা তা সমর্থন কিংবা উসকানি দিয়েছে।’
এই নতুন কাঠামোর আওতায় আইআরজিসিই প্রথম রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে তালিকাভুক্ত হলো।
সূত্র: ইকোনোমিক টাইমস
বিডি-প্রতিদিন/আশফাক