ফরিদপুর–২ আসনের (নগরকান্দা–সালথা ও ভাঙ্গার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়ন) বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও দলটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী— নবঅন্তর্ভুক্ত দুই ইউনিয়নে প্রথমবারের মতো দিনব্যাপী গণসংযোগ করেছেন।
এই দুই ইউনিয়ন দীর্ঘদিন ধরে ফরিদপুর–৪ আসনের অন্তর্ভুক্ত থাকলেও গত সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশনের নতুন গেজেটে এগুলোকে ফরিদপুর–২ আসনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। সিদ্ধান্তের পর থেকেই স্থানীয়রা তীব্র প্রতিবাদে ফেটে পড়েন। মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ থেকে শুরু করে সরকারি বিভিন্ন দফতরে ভাঙচুর–অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। চারটি মামলায় দুই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ বহু মানুষ আসামি হন। বিষয়টি উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়ালেও এখনো চূড়ান্ত সুরাহা হয়নি। এ পরিস্থিতিতে ডিসেম্বরেই তফসিল ঘোষণা হতে যাচ্ছে।
এই প্রেক্ষাপটে শামা ওবায়েদ রবিবার সকাল ১০টায় নগরকান্দার লস্করদিয়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে বিশাল গাড়িবহর নিয়ে ভাঙ্গার পুখুরিয়া বাসস্ট্যান্ডে এসে প্রথম পথসভা করেন। স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ ফুল দিয়ে তাকে বরণ করে নেন। এরপর তিনি হামিরদী বাসস্ট্যান্ড, মুনসুরাবাদ, আলগী ইউনিয়নের পীরের চর স্কুল মাঠ, মানিকদী বাজার, ইউনিয়ন পরিষদসংলগ্ন চত্বর, হরিরহাট বাজার, বিদ্যানন্দী ও সোয়াদী গ্রামে টানা পথসভা করেন।
তার সঙ্গে সফরে ছিলেন— ফরিদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আলী আশরাফ নান্নু, সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল, ভাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার ইকবাল হোসেন সেলিম, নগরকান্দা উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান বাবুল তালুকদার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান মুকুল, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত আলী শরীফ, ফারুকুজ্জামান ছোট্টু, ফজলে সোবহান শামীমসহ ফরিদপুর জেলা, ভাঙ্গা ও নগরকান্দা উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা।
পথসভাগুলোতে শামা ওবায়েদ বলেন, আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নের মানুষ নগরকান্দা–সালথার সঙ্গে যাননি, বরং আমি নগরকান্দা–সালথাবাসীকে নিয়ে আপনাদের কাছে এসেছি। আপনারা ধানের শীষে ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করলে, যদি আপনারা চান, আপনারা আবার ফরিদপুর–৪ আসনেই ফিরে যাবেন— আমি আপনাদের সেই দাবিতে পাশে থাকব।
তিনি আরও বলেন, এই দুই ইউনিয়নের ন্যায্য আন্দোলনে যারা নির্দোষ হয়েও মামলার আসামি হয়েছেন বা গ্রেফতার হয়েছেন— তাদের পাশে আমি আছি। পুলিশ ও প্রশাসনকে বলেছি— কাউকে যেন হয়রানি না করা হয়। নির্বাচিত হলে এই এলাকার উন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেব।
পিতার স্মৃতি স্মরণ করে শামা ওবায়েদ বলেন, আমার বাবা, বিএনপির সাবেক মহাসচিব কে এম ওবায়দুর রহমান ফরিদপুর জেলার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। আমিও জনগণের কল্যাণে কাজ করতে চাই।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল