অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, হাসপাতাল থেকে নিয়মিত ঔষধ না পাওয়া, পরীক্ষা-নিরীক্ষা না হওয়া এবং নিম্নমানের খাবার পরিবেশনের অভিযোগে ২৫০ শয্যা হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বেলা ১২ টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এই অভিযান চলে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন হবিগঞ্জ দুদকের উপ-পরিচালক এরশাদ আলীর নেতৃত্বে একটি টিম।
উপ-পরিচালক এরশাদ আলী জানান, অভিযানকালে খাবারে ব্যাপক অনিয়মের চিত্র মিলেছে। একজন রোগীকে যে পরিমাণ মাংস দেওয়ার কথা দেয়া হচ্ছে তার অর্ধেকেরও কম। নিয়ম অনুযায়ী একজন রোগীর জন্য দু’বেলায় তার প্রাপ্য ১ শত ৭০ গ্রাম মুরগির মাংস। কিন্তু পরিমাপ করে দেখা যায় রোগীদের দেওয়া হচ্ছে মাত্র ৭০ থেকে ৭৫ গ্রাম। এখানে একজন রোগী থেকেই ১ শত গ্রাম মাংস কারসাজি করা হচ্ছে। অথচ দরপত্র অনুযায়ী প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ধরা হয়েছে ২৯৭ টাকা। এছাড়াও হাসপাতালে ওয়ার্ড পরিদর্শনকালে বিভিন্ন ওয়ার্ড ব্যবহার অনুপযোগী ও অপরিচ্ছন্নতার বিষয়টি ফুটে উঠে।
এরশাদ আলী জানান, আমরা অনেক রোগীদের সঙ্গে পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। এতে আমরা জানতে পারি, পরীক্ষা-নিরীক্ষার অধিকাংশই হাসপাতালের বাহির অর্থাৎ ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে করানো হয়। এখানে একটা চক্র কাজ করে তারা রোগীদের বলে হাসপাতালে এই পরীক্ষা হয় না, বাহির থেকে করাতে হবে।
এছাড়াও ঔষধের স্টোর রুমেও অমরা অভিযান চালিয়েছি। সেখানে যাচাই করে আমরা ঔষধ প্রাপ্তি বা গ্রহণের রেজিস্ট্রার হালনাগাদ পাইনি। পুরো বিষয়টি তত্ত্বাবধায়ককে জানানো হয়েছে। আমরা পরবর্তীতে দুর্নীতি দমন কমিশনে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করব।
বিডি-প্রতিদিন/জামশেদ