যুদ্ধোত্তর ইউক্রেনের নিরাপত্তা কাঠামো নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেন মায়ামিতে টানা তিন দিন আলোচনা করেছে। আলোচনায় অগ্রগতি হলেও উভয় পক্ষই বলেছে, কোনো চূড়ান্ত সমঝোতা রাশিয়ার স্থায়ী শান্তির প্রতি আগ্রহের ওপর নির্ভর করছে।
মায়ামির হ্যালান্ডেল বিচের শেল বে এলাকায় এই বৈঠক হয়। যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ হুইটকফ ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আলোচনায় অংশ নেন। ইউক্রেনের পক্ষে ছিলেন প্রধান আলোচক রাসটেম উমেরভ ও ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ জেনারেল আন্দ্রি হ্নাতভ।
দুই পক্ষ জানিয়েছে, যুদ্ধের পর ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কী ধরনের ব্যবস্থা প্রয়োজন—তার একটি প্রাথমিক কাঠামোতে তারা একমত হয়েছে। এতে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়ও আলোচনায় গুরুত্ব পায়। পাশাপাশি, ইউক্রেনের দীর্ঘমেয়াদি পুনর্গঠন ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়েও আলাদা বৈঠক হয়।
এই আলোচনার আগে হুইটকফ ও কুশনার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে মস্কোতে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন। যদিও আলোচনাকে রাশিয়া ‘গঠনমূলক’ বলে উল্লেখ করলেও কোনো সমঝোতা হয়নি। পুতিন জানান, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবের কিছু অংশ গ্রহণযোগ্য মনে করলেও সেগুলোর অনেক বিষয়ই অগ্রহণযোগ্য। তিনি আবারও হুঁশিয়ারি দেন যে, ইউক্রেন বিতর্কিত এলাকা থেকে না সরলে রাশিয়া যুদ্ধ চালিয়ে যেতে ‘প্রস্তুত’।
ইউক্রেনের আলোচক উমেরভ বলেন, তাদের লক্ষ্য একটি এমন চুক্তি, যা ইউক্রেনের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে এবং নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানান, রাশিয়া নতুন কী অজুহাত দিচ্ছে—তা জানাই তাদের আলোচনার একটি অংশ।
এদিকে ইউরোপীয় নেতাদের মধ্যে আলোচনা চলছে যাতে যুক্তরাষ্ট্র–ইউরোপ এ বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকে। ফ্রান্স, জার্মানি ও ইইউ কমিশন—সবাই একমত যে, ইউক্রেন ইস্যুতে ইউরোপকে আলোচনার বাইরে রাখা যাবে না।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল