‘আমার আছে জল, আমার আছে জল, সেই জল যেন পদ্মপুকুর, মেঘলা আকাশে মধ্যদুপুর, অচেনা এক বনবাসি সুর বিষাদে কোমল’... ২০০৮ সালে বড়পর্দায় উঠল পদ্মপুকুরের ঢেউ। মেঘলা আকাশে মধ্যদুপুরে মেঘ সরিয়ে সূর্য হয়ে হেসে উঠল মিম নামের এক কন্যা, তাকে আমরা ডাকি ‘জলকন্যা’ নামে। এই কন্যাটি আর কেউ নন, লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার বিদ্যা সিনহা মিম। ২০০৭ সালে সুন্দরী খেতাব জয়ের পর সহজেই নজর কাড়লেন কলমের জাদুকর কথাসাহিতিক হুমায়ূন আহমেদের।
২০০৮ সালে এই অমর কথাসাহিত্যিক বড়পর্দায় জল আনলেন অপ্সরা মিমকে দিয়ে। ‘আমার আছে জল’ মুক্তি পাওয়ার পর জলকন্যা মিমের শুধুই সাফল্যের জল গড়িয়ে যাওয়ার পালা। দর্শক-নির্মাতার হৃদয়ে তার অবস্থান বেশ পোক্ত হয়ে গেল। নাচে-গানে অভিনয়ে মনের উঠান কাঁপানো ঝড় তুললেন তিনি। সেই ঝড়ের ঝাপটা গিয়ে ওপার বাংলাও লন্ডভন্ড করে দিল। টালিগঞ্জ সুপারস্টার জিতের সঙ্গে ‘সুলতান’ ছবিতে এসে ওপার বাংলার পর্দায়ও অভিনয় আর রূপের ছটা ছড়ালেন মিম। দীর্ঘ দুই বছরের বিরতি কাটিয়ে পর্দায় ফিরছেন বিদ্যা সিনহা মিম।
২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে টলিউডের ‘মানুষ’ ছবিতে জিতের বিপরীতে শেষবার তাকে দেখা গেছে। এরপর সরকারি অনুদানের ‘দিগন্তে ফুলের আগুন’ ছবির শুটিং করলেও মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।
সম্প্রতি এক ফ্যাশন হাউসের উদ্বোধনে অংশ নিয়ে মিম জানান, ২০২৬ সালকে তিনি নিজের কামব্যাকের বছর হিসেবে দেখছেন। তিনি নিশ্চিত করেছেন, আগামী বছরই নতুন সিনেমা ও ওয়েব সিরিজ নিয়ে সিনেমা হলে হাজির হবেন। সূত্র জানায়, মিম ইতোমধ্যে একটি নতুন সিনেমা ও একটি ওয়েব সিরিজের শুটিং শেষ করেছেন। তবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না আসা পর্যন্ত প্রকল্পগুলোর বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করতে চান না তিনি।
এ ছাড়া আরও কয়েকটি সিনেমা ও সিরিজের কাজ হাতে রয়েছে। বিরতির সময়েও প্রস্তাবের ঘাটতি ছিল না বলে জানিয়েছেন মিম।
তিনি ইচ্ছা করেই সময় নিয়েছিলেন, ভালো মানের প্রজেক্টে কাজ করার জন্য। যা হোক, এই নভেম্বর মাসেই যত সুখবর দিলেন এই জলের কন্যা। এমনিতেই নভেম্বর মাসটি এই সুন্দরীতমা নায়িকার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ মাস। কারণ ১০ নভেম্বর মিমের আলোয় উদ্ভাসিত হয়েছিল ধরণী। মানে এ মাসের ১০ তারিখে তার জন্মদিন ছিল। দীর্ঘ বিরতির পর জলের কন্যা আবার ব্যস্ত হয়ে উঠলেন লাইট-ক্যামেরা অ্যাকশন কাটে।