২৭ ঘণ্টার উদ্ধার অভিযানেও খোঁজ মেলেনি গভীর নলকূপের গর্তে পড়ে যাওয়া দুই বছরের শিশু সাজিদের। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা গর্ত খুঁড়ে ৪২ ফুট নিচ পর্যন্ত ক্যামেরা নামিয়ে অনুসন্ধান চালালেও শিশুটির কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। ফায়ার সার্ভিস বলছে, বড় পরিসরে খনন করা হচ্ছে, শিশুটিকে উদ্ধারে আরও সময় লাগবে।
এদিকে সাজিদকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধারের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এতে তাদের আটটি ইউনিটের পাশাপাশি তিনটি এক্সকাভেটর দিয়ে মাটি খননের কাজ চলছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটা পর্যন্ত প্রায় ২৭ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও উদ্ধার সম্ভব হয়নি। বুধবার ১০ ডিসেম্বর দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে তানোর উপজেলার পাচন্দর ইউনিয়নের কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শিশু স্বাধীন কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামের রাকিব উদ্দীনের ছেলে।
এর আগে তিনটি এক্সকাভেটর দিয়ে খননকাজ শেষ হওয়ার পর খননকৃত স্থানের ভেতর দিয়ে সুড়ঙ্গ তৈরি করে শিশুটি যে গভীর নলকূপের গর্তে পড়ে গেছে, সেখানে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন উদ্ধারকারীরা। তবে পানি ও কাঁদার কারণে কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
ঘটনার পর গভীর রাত পর্যন্ত কয়েক দফা নলকূপের প্রায় ৩০ ফুট গভীরতায় ক্যামেরা নামানো হলেও ওপর থেকে পড়ে যাওয়া মাটি ও খড়ের কারণে শিশুটিকে দেখা যায়নি। একই দিন দুপুরে শিশুটির কান্নার শব্দ শোনা গেলেও এরপর আর কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক অপারেশন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাইজুল ইসলাম বলেন, ৪২ ফুট গভীরতায় শিশুটির সন্ধান পাওয়া যায়নি। উদ্ধার ছাড়া বিকল্প নেই, তাই বড় পরিসরে খোঁড়ার কাজ চলছে। শিশুটিকে উদ্ধারে আরও সময় লাগবে।
বিডি প্রতিদিন/আশিক