ঠাকুরগাঁওয়ে রাসায়নিক সারের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বেশি দামে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। দিনভর সার কেনার লাইনে দাঁড়িয়েও চাহিদামতো সার কিনতে পারছেন না কৃষকরা।
কৃষকরা বলছেন, সঠিক সময়ে সার না পেলে উৎপাদনে ব্যাপক ব্যাঘাত ঘটে। ফলে আলু, গম, ভুট্টাসহ সবকিছুরই ফলন নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে।
বিএডিসির তথ্যমতে, নভেম্বর-ডিসেম্বরে শিবগঞ্জ অঞ্চলে টিএসপি বরাদ্দ ছিল ২২ হাজার ৪৯৮ টন, পটাশ ৭ হাজার ১০ টন, এমওপি ৭ হাজার ৫১৩ টন। দুই মাসে বিশেষ বরাদ্দ ছিল টিএসপি ১২০০ মেট্রিক টন। এ বরাদ্দ বিতরণে ডিলার সংখ্যা ২১০ জন। বিক্রেতারা সারের সংকটের কথা বললেও শিবগঞ্জ-মাদারগঞ্জ গুদামের সামনে সারবোঝাই ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
জেলা ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন সারের দোকানে উপচেপড়া ভিড়। কৃষকদের অভিযোগ, সরকারি দামের সঙ্গে বাজার দরের ব্যাপক পার্থক্য। টিএসপি যার সরকারি দাম ১৩৫০ টাকা, সেটাই বাইরে ২ হাজার টাকার ওপরে। পটাশ সরকারি ১ হাজার, কিন্তু বাজারে ১৪০০, ডিএপি সরকারি ১০৫০, কিন্তু বিক্রি হচ্ছে ১৩০০ টাকায়। উপায় না পেয়ে কৃষকদের অনেকেই বেশি দাম দিয়ে সার কিনছেন।
এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মাজেদুল ইসলাম বললেন, সারের কোনো সংকট নেই। কে বা কারা ইচ্ছে করে সংকটের কথা বলছে।
জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা জানান, সারের ঘাটতি নেই। একটি মহল কৃত্রিমভাবে বিষয়টি তৈরি করছে। কোনো সরকারি কর্মকর্তা যদি সিন্ডিকেটে জড়িত থাকে, অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/এমই