বরিশালের মুলাদীতে সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্যান্ডেলে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। সোমবার দিনগত রাতে মুলাদী থানায় এ মামলা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মমিনউদ্দিন।
মুলাদীর আড়িয়াল খাঁ নদীর ওপর ‘সৌহার্দ্য সেতু’ নামে ৬১৯ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি সেতু নির্মাণ করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। গত ৬ ডিসেম্বর সেতুটি উদ্বোধনের কথা ছিল। স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুইয়া অনলাইনে যুক্ত হয়ে উদ্বোধন করার কথা ছিল। কিন্তু অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগেই স্থানীয় কয়েকশ’ মানুষ এসে প্যান্ডেলে হামলা চালান এবং টেবিল-চেয়ার ভাঙচুর করে। এতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পণ্ড হয়ে যায়।
পরিদর্শক মমিনউদ্দিন জানান, সেতুর নির্মাণকাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক মেহেদি হাসান মৃধা বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। মামলায় অজ্ঞাত ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বেআইনি জনতা সৃষ্টি, সরকারি কাজে বাধা, হামলা, ভাঙচুর, চুরি এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ৬ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, জেলা প্রশাসক মো. খায়রুল আলম সুমন, ইউএনও মো. গোলাম সরওয়ার, মুলাদী থানার তৎকালীন ওসি মো. সফিকুল ইসলামসহ অন্য কর্মকর্তারা সেতুর পশ্চিম প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন।
সচিব ও কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছানোর আগেই সকাল ১০টার দিকে নাজিরপুর ও রামারপোল গ্রামের তিন শতাধিক মানুষ পূর্বপ্রান্ত থেকে মিছিল নিয়ে এসে প্যান্ডেলে হামলা চালায়। তারা উদ্বোধনী ফলক ভেঙে ফেলে, মঞ্চ ও চেয়ার ভাঙচুর করে এবং লাল গালিচা নিয়ে যায়। এতে অনুষ্ঠান পণ্ড হয়ে যায় এবং সরকারের অপূরণীয় ক্ষতি হয়। হামলাকারীদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করা সম্ভব না হওয়ায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
মুলাদী থানার ওসি আরাফাত জাহান চৌধুরী বলেন, আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
স্থানীয়দের দাবি, সেতুটির নাম পরিবর্তন করে ‘৩৬ জুলাই সেতু’ করার উদ্যোগ, সেতু নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব এমদাদুল হক মজনুকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না জানানো এবং ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের পাওনা না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ লোকজন হামলা ও ভাঙচুর চালায়।
বিডি-প্রতিদিন/মাইনুল