কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই ভাইসহ নিহত তিনজনের পরিবার ও স্বজনদের খোঁজখবর নিয়েছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. ইকবাল হোসেন।
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার সদকী ইউনিয়নের মহম্মদপুর গ্রামে সরেজমিন যান তিনি। এসময় পরিবারের সদস্যদের খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি মানবিক সহায়তা হিসেবে প্রত্যেক পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে মোট ৭৫ হাজার টাকার চেক প্রদান করেন। এছাড়াও শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল ও শুকনো খাবার দেওয়া হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আখতার, সদকী ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এনামুল হক, থানা পুলিশের কর্মকর্তাসহ অন্যান্যরা। চেক প্রদানকালে ডিসি শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলোর প্রতি সমবেদনা জানান। স্বজনরাও তাঁর সুস্থতা ও কল্যাণ কামনা করে দোয়া করেন।
নিহতরা হলেন- মহম্মদপুর গ্রামের করিম মণ্ডলের ছেলে সুমন মণ্ডল (২৫) ও রিমন মণ্ডল (১৪), এবং শাহিন মোল্লার ছেলে আশিক মোল্লা (২২)। তাঁরা তিনজন চাচাতো ভাই।
জানা গেছে, সুমন ও রিমন ঢাকায় আসবাবপত্র তৈরির কাজে নিয়োজিত ছিলেন। বোনের শাশুড়ির জানাজায় অংশ নিতে তাঁরা ঢাকায় থেকে ফিরছিলেন চাচাতো ভাই আশিকের মোটরসাইকেলে করে। শনিবার রাত ১টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের হামিরদী ইউনিয়নের মাধবপুর কবরস্থানের সামনে পৌঁছালে দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়।
রোববার দুপুরে মরদেহ গ্রামে পৌঁছালে এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। পরে আড়াইটার দিকে দুধরাজপুর-মহম্মদপুর কবরস্থানে জানাজা শেষে তিনজনকে পাশাপাশি দাফন করা হয়। নিহত আশিক ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন এবং পাশাপাশি ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে সুমন ও রিমনের বড় ভাই সুজন মণ্ডল বলেন, বোনের শাশুড়ির জানাজায় যাওয়ার জন্য তারা এক মোটরসাইকেলে রওনা হয়েছিল। পথে দুর্ঘটনায় তিনজনই মারা যায়। খবর পেয়ে রবিবার গভীর রাতে ডিসি স্যার বাড়িতে এসে খোঁজ নিয়েছেন। প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকার চেক, কম্বল ও খাবার দিয়েছেন। আমরা তাঁর কাছে দোয়া চেয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আখতার বলেন, রাতে ডিসি স্যার সরেজমিন গিয়ে স্বজনদের খোঁজখবর নেন এবং সমবেদনা জানান। নিহত তিনজনের বাবার হাতে ৭৫ হাজার টাকার চেকসহ শীতবস্ত্র ও শুকনো খাবার প্রদান করা হয়েছে। সরকারিভাবে বরাদ্দ এলে ভবিষ্যতে আরও সহযোগিতা করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/মাইনুল