আজ ৭ ডিসেম্বর, নোয়াখালী মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিযোদ্ধাদের তীব্র প্রতিরোধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও এদেশীয় দোসর রাজাকাররা পরাজিত হয়ে নোয়াখালী ত্যাগে বাধ্য হয়। মাইজদীতে রাজাকারদের প্রধান ঘাঁটি প্রাইমারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (পিটিআই) দখলের মধ্য দিয়ে নোয়াখালীকে হানাদারমুক্ত ঘোষণা করা হয়। শহীদের আত্মত্যাগে মুক্তিকামী মানুষের হাতে ছিনিয়ে আসে লাল–সবুজের বিজয়।
দিনটিকে স্মরণ করে রবিবার সকাল ১১টায় নোয়াখালী মুক্তদিবস উদযাপন পরিষদের ব্যানারে মাইজদি টাউনহল মোড় থেকে একটি র্যালি বের হয়। পরে পিটিআইয়ের দক্ষিণ গেটের কাছে অবস্থিত ‘মুক্ত স্কয়ার’ স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন সিপিবির জেলা সভাপতি শহীদ উদ্দিন বাবুল, বাসদ (মার্কসবাদী)–এর জেলা সমন্বয়ক বিটুল তালুকদার, সাম্যবাদী আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক তারকেশ্বর দেবনাথ নান্টু, বাসদ (মাহবুব)–এর যুগ্ম আহ্বায়ক শ্যামল কান্তি দেসহ বিভিন্ন বাম রাজনৈতিক দলের নেতা–কর্মীরা।
এ ছাড়া সামাজিক ব্যক্তিত্ব আব্দুল আউয়াল ও নোয়াখালীর বিশিষ্ট আইনজীবী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মোল্লা হাবিবুর রাছুল মামুন শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শোষণমুক্ত, বৈষম্যহীন ও সাম্যের বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
বিডি-প্রতিদিন/সুজন