ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিদর্শনে গিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবু জাফরের সঙ্গে তর্কে জড়ানো চিকিৎসককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার পর তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। রবিবার বেলা ১১টার দিকে চিকিৎসক ধনদেব চন্দ্র বর্মণ হাসপাতাল পরিচালকের কাছে তার জবাব জমা দেন।
চিকিৎসক ধনদেব চন্দ্র বর্মণ গণমাধ্যমকে বলেন, শোকজের চিঠি হাতে পাওয়ার পর আমি জবাব দিয়েছি। ডিজি বয়স্ক মানুষ, আমারও বেয়াদবি হয়েছে। তাই আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছি।
এর আগে, শনিবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মিলনায়তনে আয়োজিত একটি সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিতে আসেন স্বাস্থ্যের ডিজি আবু জাফর। সেমিনারে যাওয়ার আগে তিনি হাসপাতালের বিভিন্ন ইউনিট ঘুরে দেখেন। ক্যাজুয়ালটি অপারেশন থিয়েটার পরিদর্শনের সময় কক্ষের ভেতরে কেন টেবিল রাখা আছে—এ নিয়ে চিকিৎসকদের কাছে জানতে চান তিনি। এ সময় জরুরি বিভাগের ক্যাজুয়ালটি ইনচার্জ ধনদেব চন্দ্র বর্মণ তার সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন।
ধনদেব চন্দ্র বর্মণ ওয়ান-স্টপ সার্ভিসের ইনচার্জ হিসেবে ২০২৩ সালের ৮ আগস্ট থেকে দায়িত্ব পালন করছেন। চলতি বছরের জুলাইয়ে তিনি আবাসিক সার্জন থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান। শনিবারের ঘটনার পর তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।
ডা. ধনদেব আগের দিন গণমাধ্যমকে বলেন, ডিজির কাছ থেকে গুরুজনের মতো আচরণ আশা করেছিলাম। সমস্যাগুলো জানতে না চেয়ে তিনি ভেতরে টেবিল নিয়ে কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, আমার বন্ধুরা সবাই অধ্যাপক হয়ে গেছে। আমার চাকরিজীবন প্রায় শেষ, কিন্তু আমি পারিনি নানা কারণে। এ জন্য চাকরি থেকে সাসপেনশন হলেও আমি খুশি হবো।
হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মাইনউদ্দিন খান বলেন, ওই চিকিৎসককে শোকজ করা হয়েছে এবং দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এখন তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।
বিডি প্রতিদিন/আশিক