ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে তৃতীয় শ্রেণির স্কুলছাত্রী হাবিবা আক্তার (৮) নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার পর শিশুটির বাবা নাসিরনগর থানায় ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনার পর নাসিরনগর থানা পুলিশের একটি দল দুলাল মিয়া নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে। হত্যার দায় স্বীকার করে বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আশরাফুল আলম ওই আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নথিভুক্ত করেন। বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাকছুদ আহাম্মদ। গ্রেপ্তার দুলাল মিয়া উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের শংকরাদগ গ্রামের নাছির মিয়ার ছেলে। দুলাল ওই এলাকার চিহ্নিত একজন অপরাধী।
শিশুর বাড়ি হরিপুর ইউনিয়নের শংকরাদগ গ্রামে। তার বাবা মনুস মিয়া একজন কৃষক। মা সৌদি প্রবাসী। নিহত শিশুটির বাবা ৩ ডিসেম্বর রাতে নাসিরনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পরই রাতে দুলাল মিয়া নামে এক যুবকে গ্রেপ্তার করে নাসিরনগর থানা পুলিশ।
আসামির জবানবন্দির বরাতে নাসিরনগর থানার ওসি মাকছুদ আহাম্মদ জানান, গত দুই ডিসেম্ভর রাতে গ্রেপ্তার আসামি দুলাল মিয়া ঘর থেকে ডেকে নেয় হাবিবাকে। এর পর তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় শিশুটি চিৎকার করলে তার মুখে ও গলায় চাপ দিয়ে হত্যা করা হয়। পরের দিন বুধবার ৩ ডিসেম্বর তার লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ।
মাকছুদ জানান, মঙ্গলবার রাতে শিশুটির বাবা মনুস মিয়া জানতে পারেন তার মেয়ে হাবিবা ঘর থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। এর পর স্থানীয়দের সহযোগীতায় হাবিবাকে খোঁজাখুজি করে সবাই। এসময় ওই আসামি দুলাল মিয়াও খুঁজতে তার বাবার সাথে যোগ দেন। এমনকি লাশ উদ্ধার করার সময় পুলিশ শিশুটির বাড়িতে গেলে ওই দুলাল বিভিন্ন ভাবে ভ্রান্ত তথ্য দিতে থাকেন পুলিশ সদস্যদের। দুলালের উল্টাপাল্টা আচরণে আমাদের সন্দেহ হয়। ঘটনার রাতেই শিশুটির বাবা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেন। দুলাল মিয়া শিশুটিকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর তাকে পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে প্রথমে ধর্ষণ করে। এ সময় শিশুটি চিৎকার করতে থাকলে মুখে চাপ দিয়ে গলায় শ্বাসরোধ করা হয়। সে সময় সে মারা যায়। এরপর তার মরদেহটি ঘরে রেখে চলে যায় দুলাল।
বিডি প্রতিদিন/এএম