কৃষকের কাছ থেকে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ ওঠায় মো. রায়হানুল হক নামের এক উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। তবে কৃষি কর্মকর্তা অভিযোগটি মিথ্যা এবং ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করেছেন।
জানা গেছে, দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের ফেচিয়া গ্রামের কৃষক হাসান আলীর ফুফাতো ভাই আলাল মিয়ার নামে চলতি বছরে সেচ প্রকল্পের আওতায় একটি সোলার সেচ পাম্পের বারাদ্দ আসে। কিন্তু এই কাজের জন্য যোগাযোগ করেন কৃষক হাসান আলী। তিনি দুর্গাপুর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা মো. রায়হানুল হকের কাছে গেলে প্রথমে খরচের জন্য দুই দফায় ৩০ হাজার টাকা ঘুষ দেন। পরবর্তীতে গত ১০ নভেম্বর তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আরও ২০ হাজার টাকা পাঠাতে বাধ্য হন। আবারও ৫০ হাজার টাকা দাবি করা হলে কৃষক হাসান আলী লিখিত অভিযোগ করেন। এই লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত সপ্তাহে কৃষি বিভাগ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
অভিযোগকারী কৃষক হাসান আলী বলেন, আমার ফুপাতো ভাই আলাল মিয়ার নামে সোলার সেচ পাম্পের কাজ আসে। এরপর কৃষি অফিসে যোগাযোগ করলে উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা রায়হানুল হক কাজের খরচের জন্য ১ লাখ টাকা দাবি করেন। দাবিকৃত টাকার মধ্যে কথামতো হাতে-হাতে ৩০ হাজার টাকা দিয়েছি। পরে আবারও টাকা চাইলে হাতে না থাকায় বলেছি ব্যাংকে আছে তুলে দিব। তখন রায়হান স্যার বললো একাউন্টে দিয়ে দিতে। তাই গত ১০ নভেম্বর তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আরও ২০ হাজার টাকা পাঠাতে বাধ্য হই। পরে আবারও ৫০ হাজার টাকা তিনি দাবি করেন। কিন্তু সরকারি সেচ পাম্পের জন্য কোনো টাকা লাগে না জানতে পেরে আমি অভিযোগ করেছি। আমাদের টাকাটা ফেরত চাই।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মুঠোফোনে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা কৃষি অফিসার রায়হানুল হক বলেন, আমার বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র হয়েছে। মিথ্যা একটি অভিযোগ দিয়েছে। এটির বিভাগীয় তদন্ত হচ্ছে। অতিসত্তর ঘটনার মিথ্যা তদন্ত আসবে। আপনার মাধ্যমে এমন ষড়যন্ত্রকারীদের শাস্তি দাবি করছি। যে অভিযোগকারী তিনিও অভিযোগ অস্বীকার করবেন বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন অভিযুক্ত।
এ ব্যাপারে মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) নেত্রকোনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছি। তদন্ত চলমান বলে জানান তিনি। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল