সাগরে মাছ ধরার সময় ভারতীয় জলসীমায় অনুপ্রবেশের অভিযোগে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার ১৫ জেলেকে আটক করেছে ভারতের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে তাদের ফ্রেজারগঞ্জ উপকূলীয় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আটক জেলেরা সবাই একই ট্রলার ‘এম.বি. আল্লাহ মালিক’–এ মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। তারা হলেন—ফয়েজ (৩১), আব্দুর রাজ্জাক (৪৪), বেনু বাঁশি জল দাশ (৬২), মোস্তাক আহম্মদ (৫৩), নাজিম উদ্দীন (৩৬), আব্দুল আলিম (৪৮), শিপংকর দাশ (২০), শামীম উদ্দিন (৪৪), লিবজল দাশ (১৩), সর্বানন্দ জল দাশ (৩৭), সম্রাজ দাশ (৩৩), মো. কাইছার (৪২), নিব জল দাশ (৪১), আব্দু ছালাম (৪৩) ও আইয়ুব খান (২০)।
পরিবারগুলোর মধ্যে চলছে কান্না ও উদ্বেগ। শিপংকর দাশের মা নয়ন রানী দাশ জানান, বড় ছেলে মারা যাওয়ার পর থেকেই তার মেঝ ছেলে পরিবারের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেয়। ছেলেকে আটকের খবর শুনে তিনি পাগলপ্রায়। একইভাবে বেনু বাঁশি জল দাশের স্ত্রী বিপু রানী ও লিবজল দাশের মা নেভী রানীসহ অন্য স্বজনরা সরকারের দ্রুত উদ্যোগ কামনা করেছেন।
ট্রলার মালিকের ভাতিজা জিয়া উদ্দিন জানান, আটক ১৫ জেলে ও ট্রলার উদ্ধারের জন্য জেলেদের জাতীয় পরিচয়পত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করা হচ্ছে। পরে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সহায়তার আবেদন জানানো হবে।
কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ক্যথোয়াইপ্রু মারমা জানান, বিষয়টি তাদের জানা আছে। আটক জেলেদের পরিচয় নিশ্চিত করতে নথিপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত পৃথক ঘটনায় কুতুবদিয়ার মোট ৫৬ জন জেলে ভারতীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল