টানা চার দিনের অপেক্ষার পর অবশেষে বুড়িমারী স্থলবন্দর থেকে ভুটানের উদ্দেশ্যে ট্রানজিট পণ্যের কার্গোবাহী ট্রাক ছাড়িয়েছে। এই ঘটনার কারণে বুড়িমারী স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে, যা ব্যবসার নতুন দ্বার উন্মোচনের সূচনা করবে।
থাইল্যান্ড থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে আসা ট্রানজিট পণ্যটি প্রথম ‘ট্রায়াল রান’ হিসেবে বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে বুড়িমারী স্থলবন্দর থেকে সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টায় ভুটানের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
প্রথম ট্রায়াল চালানটি শুরুতেই কিছু জটিলতায় পড়লেও, ব্যবসায় কোনো প্রভাব পড়বে না বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ২০২৩ সালের ২২ মার্চ স্বাক্ষরিত চুক্তি ও প্রটোকলের আওতায় এই পরীক্ষামূলক চালান সফলভাবে ভুটানে পৌঁছানোয় বুড়িমারী স্থলবন্দর ব্যবসার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
এ ঘটনার ফলে বুড়িমারী স্থলবন্দর এলাকায় শ্রমিকদের লোড–আনলোড কাজ, সিএনএফ এজেন্টদের ব্যবসা বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন গুদামের ভাড়া—সব মিলিয়ে বন্দরে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসবে বলে মনে করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। আনুষ্ঠানিক হস্তান্তর কার্যক্রম দেশি উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সম্পন্ন হয়েছে।
বুড়িমারী স্থলশুল্ক সহকারী কমিশনার দেলোয়ার হোসেন জানান, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আসা ট্রাকটি ভারতের অনুমতি জিরো পয়েন্ট অতিক্রম করেছে। ভারতের চ্যাংড়াবান্ধা বন্দরের নাম না থাকায় প্রথমে কিছু জটিলতা দেখা দিয়েছিল। পরে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ অনুমতি দেওয়ায় ট্রাকটি সুষ্ঠুভাবে ভুটানে পৌঁছাতে সক্ষম হয়।
বিডি-প্রতিদিন/সুজন