কুড়িগ্রামে এক কিশোরী ধর্ষণ মামলায় মো. তোফাজ্জল হোসেন নামের একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুরে কুড়িগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) রিপতি কুমার বিশ্বাস এ রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মিজানুর রহমান।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তোফাজ্জল হোসেন কুড়িগ্রাম উলিপুর উপজেলার যমুনাঝেল্লারাম গ্রামের মো. সাহাবুদ্দিনের ছেলে।
মামলার বিবরণে বলা হয়, আসামি তোফাজ্জল পূর্ব পরিচয়ের সুবাদে ভিকটিমের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। ২০০৯ সালের ২১ মে ভোরে ভিকটিমের বাবা দিনমজুরের কাজে বাইরে যান এবং বোনের বাড়িতে বেড়াতে যান মা। বাড়িতে একাই ছিল ওই কিশোরী। এ সুযোগে আসামি ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। পরে বিষয়টি প্রকাশ করলে খুন করার হুমকি দেন এবং প্রকাশ না করলে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন।
ঘটনার পরও কয়েকদিন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক চালিয়ে যান আসামি। এতে ভিকটিম গর্ভবতী হয়ে পড়েন। ভিকটিম বিয়ের কথা বললে তোফাজ্জল নানা টালবাহানা করতে থাকেন। পরে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে ২০০৯ সালের ১৭ অক্টোবর সালিশ বৈঠকে আসামি ঘটনাটি স্বীকার করে তিন দিনের মধ্যে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু প্রতিশ্রুতি পালন না করায় ভিকটিম উলিপুর থানায় মামলা করেন।
তদন্ত শেষে পুলিশ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে। সাক্ষ্যগ্রহণ ও প্রমাণ পর্যালোচনা শেষে আদালত আজ এ রায় দেন।
বিডি-প্রতিদিন/মাইনুল