বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতার জন্য বিগত আওয়ামী লীগ সরকারই দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও নতুন করে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া মুশফিকুর রহমান।
সোমবার দুপুরে কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও কুটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম মো. নজরুল ইসলাম জিতুর (৭০) জানাজায় অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে কুটি অটল বিহারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
মুশফিকুর রহমান বলেন, উনার মতো একজন নেত্রীকে কোনো যথাযথ কারণ ছাড়াই জেলে রাখা হয়েছিল। যে রায় দেওয়া হয়েছে, তাতেও কোথাও বলা নেই যে তিনি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। একজনের অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য অ্যাকাউন্টে টাকা স্থানান্তর করাকে কি আত্মসাৎ বলা যায়? আর এর জন্য কি তাকে জেলে ভরতে হবে?
তিনি বলেন, জেলেই তার অসুস্থতার শুরু। দীর্ঘ ১৬ বছর তিনি যথাযথ চিকিৎসা পাননি। বিদেশে চিকিৎসার জন্য যেতে চাইলেও অনুমতি দেওয়া হয়নি। এসব কারণেই তার শারীরিক অবস্থা ক্রমেই অবনতি হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়ার বর্তমান অসুস্থতার জন্য বিগত আওয়ামী লীগ সরকার সম্পূর্ণ দায়ী।
তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রিয় নেত্রী এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আপনাদের দোয়ার বরকতে কিছুটা উন্নতি হলেও তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ নন। আমরা সবাই তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।
জানাজার আগে মরহুমের স্মরণে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনের জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী মো. আতাউর রহমান সরকার, জেলা বিএনপির সহসভাপতি মো. ইলিয়াস মিয়া, জেলা বিএনপির সদস্য আলহাজ্ব কবীর আহমেদ ভূইয়া, কসবা উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট ফখরুদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক শরিফুল হক স্বপন, সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল উদ্দিন প্রমুখ।
এছাড়া জানাজায় জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার নাজমুল হুদা খন্দকার, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল মনসুর, কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সাবেক সদস্য নাছির উদ্দীন হাজারী, কসবা পৌর বিএনপির সভাপতি শরিফুল ইসলাম ভূইয়া, জামায়াতে ইসলামী সাবেক সভাপতি আশরাফ আলীসহ এনসিপি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, জনপ্রতিনিধি, সামাজিক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/সুজন