১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের এই দিনে পঞ্চগড় পাকিস্তানি হানাদারমুক্ত হয়। দিবসটি উপলক্ষে শনিবার সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয় সংলগ্ন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
পরে সেখান থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ’৭১-এর বধ্যভূমিতে গিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এরপর শহীদ মিনার চত্বরে অনুষ্ঠিত হয় এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা।
জেলা প্রশাসক কাজী মো. সায়েমুজ্জানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সায়খুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডা. মিজানুর রহমান এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ফজলে রাব্বানী।
বক্তারা বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলা ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দখলে গেলেও ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত পঞ্চগড় ছিল শত্রুমুক্ত। ১৭ এপ্রিল পাকবাহিনী জেলার চারটি উপজেলা দখল করলেও পুরো যুদ্ধকালীন সময়েই তেঁতুলিয়া ছিল সম্পূর্ণ মুক্ত অঞ্চল।
যুদ্ধের সাড়ে সাত মাসে পাকিস্তানি বাহিনী পঞ্চগড়ে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়; হত্যা, ধর্ষণসহ নানাবিধ বর্বরতা চালায় নিরীহ মানুষের ওপর। অবশেষে ২৯ নভেম্বর মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর যৌথ আক্রমণে পাকবাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয় এবং পঞ্চগড় শত্রুমুক্ত হয়।
সেদিনের যুদ্ধে ৪৮ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ মিত্রবাহিনীর শতাধিক যোদ্ধা শহীদ হন। শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
বিডি-প্রতিদিন/মাইনুল