কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত দেশের প্রাচীন সংবাদপত্র সাপ্তাহিক আমোদের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক মোহাম্মদ ফজলে রাব্বীর ৩১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দিবসব্যাপী স্মরণসভা ও কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
স্মরণ সভা শুরু হয় বিষ্ণপুর কবরস্থানে কবর জিয়ারত দিয়ে, এরপর কুমিল্লা নগরীর ভাষা সৈনিক অজিতগুহ মহাবিদ্যালয়ের মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তারা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ফজলে রাব্বী, পল্লী উন্নয়নের জনক ড. আখতার হামিদ খান এবং ভাষা সৈনিক অজিত কুমার গুহের মতো আলোকিত ব্যক্তিত্ব, যাদের আদর্শ অনুসরণ করে শিক্ষার্থীরা জীবন গড়ে তুলতে পারে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সংসদের সহ-সভাপতি শাহাজাদা এমরান, প্রধান অতিথি ছিলেন অধ্যক্ষ মো. শরিফুল ইসলাম, স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক অচিন্ত্য দাস টিটু। এছাড়া কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ডা. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ, ছড়াকার জহিরুল হক দুলাল, সংসদের সাবেক সভাপতি আবুল হাসানাত বাবুল, বদরুল হুদা জেনু, ফজলে রাব্বীর ভাগিনা জামান খানসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
গ্রামের বাড়ি সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর মিয়া বাড়ি জামে মসজিদে ২৮ নভেম্বর বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হবে। এছাড়া তার সন্তানরা যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্জিতে ২৮ নভেম্বর স্মরণ সভা করেছেন।
মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী ১৯২৫ সালের ১ জুন কুমিল্লা নগরীর মোগলটুলীতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৫ সালে তিনি ‘আমোদ’ পত্রিকা প্রকাশ শুরু করেন, যা পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম ক্রীড়া সাপ্তাহিক হিসেবে খ্যাত। চলতি বছর ‘আমোদ’ ৭১ বছরে পা দিয়েছে।
ফজলে রাব্বীর পর তার সহধর্মিনী প্রয়াত শামসুন নাহার রাব্বী এবং বর্তমানে তার একমাত্র ছেলে বাকীন রাব্বী পত্রিকার সম্পাদনা দায়িত্ব পালন করছেন।
১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো ‘আমোদ’ কে এশিয়ার পাঁচটি সফল আঞ্চলিক পত্রিকার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করেছে। ফজলে রাব্বীর যুগান্তকারী অবদান আজও কুমিল্লা ও আশপাশের অঞ্চলে সাংবাদিকতা ও লেখালেখির প্রেরণা জাগাচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/আশফাক