স্বতন্ত্র নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরকে অন্য কোনো অধিদপ্তরের সঙ্গে একীভূত করার প্রচেষ্টা বন্ধ এবং জাতীয় নার্সিং কমিশন গঠনসহ আট দফা দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএনএ)।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ২৫০ শয্যা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল চত্বর থেকে সংগঠনের সদস্যরা কালো ব্যাজ ধারণ করে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব চত্বরে গিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশে পরিণত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনএ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি মোসাম্মৎ কোহিনুর বেগম, সাধারণ সম্পাদক নাছিমা বেগম, সংগঠনের শিক্ষার্থী বিষয়ক প্রতিনিধি মোহাম্মদ সাদেক হোসেন খান, ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের নার্সিং সুপারভাইজার জাকির হোসেন, নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইনস্ট্রাক্টর মোশারফ হোসেন প্রমুখ।
সমাবেশে নার্সরা বলেন, দাবি পূরণ না হলে ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করা হবে। আগামী ৩০ নভেম্বর কালো ব্যাজ ধারণ করে দুই ঘণ্টাব্যাপী প্রতীকী শাটডাউন এবং ২ ডিসেম্বর থেকে দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান ও নার্সিং ও মিডওয়াইফারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ পালন করা হবে।
আন্দোলনকারী নার্সদের অন্যান্য দাবিগুলো হলো—
১. অবিলম্বে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর প্রস্তাবিত নিয়োগবিধি, অর্গানোগ্রাম, স্ট্যান্ডার্ড সেট-আপ এবং ক্যারিয়ার পাথ অনুমোদন ও বাস্তবায়ন করা।
২. নার্সদের পরবর্তী উচ্চতর পদগুলোতে (৯ম থেকে ৪র্থ গ্রেড) ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি এবং সুপার নিউমারারি পদোন্নতি চালু করা।
৩. নার্সিং সুপারভাইজার এবং নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর পদগুলো ৯ম গ্রেডে উন্নীত করা।
৪. ডিপ্লোমা নার্স–মিডওয়াইফদের সনদকে স্নাতক (পাস) সমমান দেওয়া।
৫. সব গ্রাজুয়েট নার্স–মিডওয়াইফদের জন্য প্রফেশনাল বিসিএস চালু করা।
৬. বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা ও নার্সিং–মিডওয়াইফারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুনির্দিষ্ট নিয়োগবিধি ও মানসম্মত বেতন কাঠামো প্রণয়ন করা এবং অপ্রশিক্ষিত–নিবন্ধনবিহীন ভুয়া নার্স–মিডওয়াইফদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া।
৭. নার্স–মিডওয়াইফদের ঝুঁকিভাতা প্রদান করা ও বিগত সরকারের চাপিয়ে দেওয়া ইউনিফর্ম পরিবর্তন করা।
৮. শয্যা, রোগী ও চিকিৎসকের অনুপাতে পর্যাপ্ত নার্স–মিডওয়াইফের পদ সৃষ্টি ও নিয়োগ দেওয়া।
বিডি-প্রতিদিন/মাইনুল