ফরিদপুর–৪ (ভাঙ্গা–সদরপুর–চরভদ্রাসন) আসনে খেলাফত মজলিসের প্রার্থী ও জেলা শাখার সহসভাপতি মাওলানা মিজানুর রহমানের পক্ষে নির্মিত একটি তোরনে আগুন দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (২৬ নভেম্বর) রাত সাতটার দিকে ভাঙ্গা পৌরসভার নুরপুর মহল্লা এলাকায় ঢাকা–খুলনা মহাসড়কে এই ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর রাত নয়টার দিকে খেলাফত মজলিসের ভাঙ্গা উপজেলা কার্যালয়ে ইসলামী সমমনা আট দলীয় জোট সংবাদ সম্মেলন করে দোষীদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে খেলাফত মজলিসের ভাঙ্গা উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা হাফিজুর রহমান বলেন, ‘সারাদিন গণসংযোগ শেষে সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে ফিরি। কিছুক্ষণ পর এক ভ্যানচালক এসে খবর দেয়, নুরপুর এলাকায় মহাসড়কে নির্মিত তোরনে আগুন লেগেছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি দুই পাশেই আগুন জ্বলছে। বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে থানায় জানাই।’
তিনি আরও জানান, আগুনে তোরনের দুই পাশে থাকা প্রার্থী, দলীয় প্রধান ও রিকশা প্রতীকের ছবিযুক্ত ব্যানার পুড়ে গেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামীর ভাঙ্গা পৌর শাখার আমির মুহাম্মদ এনায়েত হোসেন বলেন, ‘তোরনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’
তিনি দাবি করেন, সম্প্রতি ভাঙ্গা পৌরসভার বিভিন্ন জায়গায় জামায়াতে ইসলামীর কয়েকটি বিলবোর্ডও ছিঁড়ে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা।
ইসলামী আন্দোলনের ভাঙ্গা উপজেলা শাখার সহসভাপতি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘এর আগে ভাঙ্গায় কোনো নির্বাচনে প্রচারে বাধা হয়নি। কিন্তু এবার তোরন পোড়ানো হচ্ছে, বিলবোর্ড ভাঙচুর করা হচ্ছে। বাজার–বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আমাদের ৬টি বিলবোর্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ৪টি তুলে নেওয়া হয়েছে। দ্রুত এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সনাক্ত করে শাস্তি দিতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন খেলাফত মজলিসের ভাঙ্গা উপজেলা মিডিয়া সম্পাদক মাওলানা শহীদুল ইসলাম।
ঢাকায় অবস্থান করা খেলাফত মজলিসের প্রার্থী মাওলানা মিজানুর রহমান এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। তা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আগুন দ্রুতই নিভে গেছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিডি-প্রতিদিন/সুজন