ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া বিভাগে রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক ভাবে বেড়েছে। ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ২০টি বেডের বিপরীতে বর্তমানে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৮৩ জন রোগী। ফলে বেড সংকট চরমে পৌঁছেছে। বেশির ভাগ রোগী করিডর, বেডের পাশ ও মেঝেতে গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে।
ডায়রিয়া বিভাগে দুইজন কনসালটেন্টসহ শিশুরোগ ও মেডিসিন বিভাগে ৮ জন চিকিৎসক দিন-রাত চাপের মধ্যে থেকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, অধিকাংশ প্রয়োজনীয় ওষুধ পর্যাপ্ত রয়েছে। তবে Micropore, Vasofix Cannula Ges Saline Set-এর ঘাটতি পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলেছে। এসব গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ বাহির থেকে কিনতে হওয়ায় নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোর অতিরিক্ত ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) রাত ৯টা পর্যন্ত নতুন ভর্তি হয়েছে ২৬ জন রোগী। বর্তমানে ডায়রিয়া বিভাগে ভর্তি রোগী ৮৩ জন। এদিন ছাড়পত্র পেয়েছেন ২৪ জন। বেড সংকটের চাপ সামলাতে চিকিৎসক ও নার্সদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। এছাড়া প্রতিদিন মাত্র ২০ জন রোগী হাসপাতালের খাবার পেলেও অধিকাংশ রোগীকে থাকতে হচ্ছে সহযোগিতার অপেক্ষায়। শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন চিকিৎসকরা। এতে চাপ আরও বাড়বে বলেও জানিয়েছেন তারা।
মানিক মিয়া নামে এক শিশুর বাবা বলেন, সকালে ডায়রিয়া আক্রান্ত ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। কিন্তু বেড না থাকায় মেঝেতে কম্বল বিছিয়ে শুয়ে আছে আমার ছেলে ও স্ত্রী। শহরের পৈরতলার এলাকার জহিরের ছেলে ভর্তি আছে হাসপাতালে। তিনি বলেন, রাতে হাসপাতালে ভর্তি করেছি ছেলেকে। কিন্তু বেড নাই। বারান্দাতেও কম্বল বিছিয়ে থাকতে হচ্ছে গাদাগাদি করে।
শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আকতার হোসাইন বলেন, শিশু ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। চাপ সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে। তারপরও আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।
হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. রতন কুমার ঢালী বলেন, ওষুধের সাপ্লাই পর্যাপ্ত রয়েছে। তবে কিছু আইটেমের ঘাটতি আছে। যেগুলো রোগীদের বাহির থেকে কিনতে হচ্ছে। শীত বাড়ার সঙ্গে রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে ওষুধ পাওয়া যায় এ বিষয়ে মানুষের সচেতনতা জরুরি।
বিডি প্রতিদিন/এএম