রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দে বেগম রোকেয়া স্মৃতিকেন্দ্রে আঁধার কেটে আলোর হাতছানি দেখা দিয়েছে। স্মৃতি কেন্দ্রটি দীর্ঘদিন থেকে বঞ্চণায় ভুগছিল।
বাংলা একাডেমি পরিচালিত স্মৃতিকেন্দ্রটিতে নারীদের স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে বিনামূল্যে সেলাই প্রশিক্ষণ কোর্স এবং শিশু-কিশোরদের জন্য সংগীত ও চিত্রাঙ্কন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু করা হচ্ছে। আগামী ৯ ডিসেম্বর রোকেয়া দিবসে উদ্বোধন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, বেগম রোকেয়ার চিন্তা চেতনাকে জাগ্রত করতে ১৯৯৭ সালের ২৮ জুন কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। প্রায় সোয়া ৩ একর জমিতে পৌনে চার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় স্মৃতিকেন্দ্রটি। যা ২০০১ সালের ১ জুলাই উদ্বোধন করার পর ‘বেগম রোকেয়া স্মৃতিকেন্দ্র’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় আসে। প্রতিষ্ঠানটি বাংলা একাডেমি পরিচালিত সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন। ২০০৭ সালে এটি বন্ধ হয়ে যায়।
পরে ২০০৮ সালে পোষাক শ্রমিক তৈরির প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। তবে বেগম রোকেয়ার স্মৃতি রক্ষার্থে গড়ে তোলা স্মৃতিকেন্দ্রের মূললক্ষ্য ব্যাহত করে সেখানে বিকেএমইএ-এর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বন্ধ এবং উচ্ছেদ করার জন্য হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ ২০১২ সালে হাইকোর্টে একটি রিট করে। পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী বিকেএইএ-এর কারখানাটি উচ্ছেদ করা হয়।
বাংলা একাডেমির সহপরিচালক ও বেগম রোকেয়া স্মৃতিকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবিদ করিম মুন্না জানান, ‘আমাদের প্রস্তুতি চলছে। ইতোমধ্যে পোস্টার, হ্যান্ডবিল ও মাইকিংয়ের মাধ্যম প্রচার শুরু হয়েছে। বিনামূল্যে ফরম সংগ্রহের জন্য স্মৃতিকেন্দ্রে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’ তিনি আরও জানান, নির্দিষ্ট কিছু আসনে সফলভাবে কোর্স সমাপ্তির পর প্রশিক্ষণার্থীদের সনদ প্রদান করা হবে।
বেগম রোকেয়া স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম দুলাল বলেন, স্মৃতিকেন্দ্রে নারীরা সেলাই প্রশিক্ষণ পেলে পায়রাবন্দের অনেক নারী স্বাবলম্বী হবেন। এটি ভালো উদ্যোগ।
বিডি-প্রতিদিন/এমই