যশোরে চাচাতো ভাইকে হত্যার দায়ে আপন দুই ভাইকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। মামলার আরেক আসামি ওসমান গণির স্ত্রী খাদিজা খাতুনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
সোমবার যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক জুয়েল অধিকারী এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার শংকরপুর ইউনিয়নের ছোট পোদাউলিয়া গ্রামের মৃত ছবেদ আলী সরদারের ছেলে ওসমান গণি ও আলী হোসেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোরের অতিরিক্ত পিপি আজিজুল ইসলাম। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়।
আদালত সূত্র ও মামলার বিবরণে জানা যায়, ছোট পোদাউলিয়া গ্রামের নূরুল হকের ছেলে কামরুল আমিনের সঙ্গে তার চাচাতো ভাই ওসমান গণি ও আলী হোসেনের জমিসংক্রান্ত বিরোধ চলছিল দীর্ঘদিন। ২০২৩ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় কামরুল নিজের জমিতে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করতে গেলে ওসমান ও আলী হোসেনের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে দুই ভাই বাড়ি থেকে ধারালো দা এনে কামরুলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যান। স্থানীয়রা কামরুলকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই রুহুল আমিন সরদার বাদী হয়ে ওসমান গণি, তার স্ত্রী খাদিজা খাতুন এবং আলী হোসেনকে আসামি করে ঝিকরগাছা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০২৪ সালের ৩ জুলাই ঝিকরগাছা থানার উপপরিদর্শক বনি ইসরাইল আদালতে মামলার চার্জশিট দাখিল করেন।
অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত ওসমান গণি ও আলী হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড এবং প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। অপরদিকে, খাদিজা খাতুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেওয়া হয়।
যশোরের অতিরিক্ত পিপি আজিজুল ইসলাম বলেন, হত্যা মামলায় দুই বছরের মাথায় রায় প্রদান নজিরবিহীন। সরকার পক্ষ এ রায়ে সন্তুষ্ট।
অন্যদিকে আসামিপক্ষ জানিয়েছে, তারা ন্যায়বিচার পাননি এবং উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
বিডি-প্রতিদিন/মাইনুল