বিদেশি অপারেটর ইস্যুতে আন্দোলনরত দুটি সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সোমবার দুপুরে বৈঠক করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দর ভবনে বৈঠক শেষে বন্দর রক্ষা পরিষদ তাদের পূর্বঘোষিত অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করেছে। সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে তিন ঘণ্টা এ অবরোধ পালনের কথা ছিল। তবে অপর সংগঠন শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ) আগামী বুধবারের ঘোষিত অবরোধ বহাল রেখেছে।
দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরের লালদিয়া চর ও পানগাঁও কনটেইনার টার্মিনাল নিয়ে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে করা চুক্তি বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছে বন্দর রক্ষা পরিষদ ও স্কপসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন। নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) ও চিটাগং কনটেইনার টার্মিনাল (সিসিটি) ইজারা প্রক্রিয়া বন্ধের দাবিও আছে তাদের।
বন্দর রক্ষা পরিষদ সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বন্দরের প্রধান প্রবেশমুখ নগরীর আগ্রাবাদ, বড়পুল ও সিম্যান্স হোস্টেলের সামনে তিন ঘণ্টা সড়ক অবরোধ ডেকেছিল। অপরদিকে, বুধবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত আগ্রাবাদ, মাইলের মাথা ও বড়পুল এলাকায় অবরোধের ডাক দেয় স্কপ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বন্দর কর্তৃপক্ষ এ দুটি সংগঠনের সঙ্গে সোমবার আলাদাভাবে বৈঠকে বসে। বন্দরের পক্ষে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও পরিচালনা বোর্ডের সদস্য (প্রকৌশল) কমডোর কাওছার রশিদসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বন্দর রক্ষা পরিষদের আহ্বায়ক হাসান মারুফ রুমী বলেন, এনসিটি ও সিসিটিতে শ্রমিক স্বার্থবিরোধী কিছু করা হবে না বলে বন্দর কর্তৃপক্ষ আমাদের আশ্বস্ত করেছে। এ কারণে পূর্বঘোষিত অবরোধ স্থগিত করেছি। আগামী দুই দিন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। বন্দর কর্তৃপক্ষ কথা না রাখলে ফের অবরোধ কর্মসূচি দেওয়া হবে।
স্কপের যুগ্ম আহ্বায়ক ও জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী শেখ নুরুল্লাহ বাহার বলেন, এনসিটি ও সিসিটি বিদেশিদের হাতে দেওয়া হবে না—এমন কোনো সিদ্ধান্ত বন্দর কর্তৃপক্ষ দিতে পারেনি। তাই আমরা পূর্বঘোষিত অবরোধ কর্মসূচি বহাল রেখেছি।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, বৈঠকে আমদানি রফতানি স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে বন্দরের পক্ষ থেকে কর্মসূচি স্থগিত রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/কেএইচটি