ছন্দে নেই, পুরোপুরি এমন অভিযোগ নয়। তারপরও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-২০ সিরিজের প্রথম দুটিতে সুযোগ পাননি শামীম হোসেন পাটোয়ারী। বাদ দেওয়ার যথেষ্ট যুক্তিও ছিল নির্বাচক প্যানেলের। শেষ তিন ম্যাচে তার রান মাত্র ১। বাদ পড়তেই পারেন। নির্বাচক প্যানেল তাকে বাদ দিয়ে স্কোয়াডে নেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে। শামীমকে বাদ দেওয়ার পর ফুঁসে ওঠেন বাংলাদেশ দলের টি-২০ অধিনায়ক লিটন দাস। সিরিজ শুরুর আগে তিনি মিডিয়ার মুখোমুখিতে নির্বাচক প্যানেলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান। সেখানে স্পষ্ট করে জানান, শামীমকে বাদ দেওয়ার বিষয়টি তিনি জানতেন না। তাকে জানায়নি নির্বাচক প্যানেল। প্রতিত্তোরে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুও জানান, সব বিষয়ে অধিনায়ককে জানাতে হবে এমন কোনো শর্ত নেই। এরপর থেকে অধিনায়ক ও টিম ম্যানেজমেন্টের মধ্যে একটি শীতল সম্পর্ক যে বহুদিন ধরেই বিরাজমান, সেটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। অধিনায়ক ও নির্বাচকের মধ্যে দূরত্বের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। সিরিজের প্রথম ম্যাচে আয়ারল্যান্ড জিতেছে ৩৯ রানে। দ্বিতীয়টি ৪ উইকেট জিতে সিরিজে সমতা আনে লিটন বাহিনী। আগামীকাল সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ। ম্যাচটি আবার রূপ নিয়েছে অলিখিত ফাইনালে। অলিখিত ফাইনালের জন্য অনেক বিতর্কের পর নেওয়া হয়েছে শামীমকে। শুরুর দুই ম্যাচ না খেললেও টিকে গেছেন মাহিদুল।
প্রথম ম্যাচে তাওহিদ হৃদয় ছাড়া দলের ব্যাটিং লাইন পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়। ১৮২ রানের টার্গেটে ১৮ রানে ওপরের সারির চার ব্যাটার হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে। সেখান থেকে হৃদয় ৮৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলের মানসম্মান রক্ষা করেন। দ্বিতীয় ম্যাচে ১৭১ রানের টার্গেটে দলকে জয় উপহার দেন অধিনায়ক লিটন ৫৭ রানের ইনিংস খেলে। অধিনায়কের বিদায়ের পর ম্যাচ ঝুলে গিয়েছিল। সেখান থেকে দলকে জয় উপহার দেন সিমিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। বল হাতে দারুণ স্পিন করেন শেখ মেহেদি। আগামীকাল সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-২০ ম্যাচ। অলিখিত ফাইনালের ম্যাচটির স্কোয়াডের জন্য শামীমকে অন্তর্ভুক্ত করেন নির্বাচকরা। প্রথম নির্বাচকরা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি নন।
বাংলাদেশ টি-২০ স্কোয়াড : লিটন কুমার দাস (অধিনায়ক), সাইফ হাসান (সহ-অধিনায়ক), তানজিদ হাসান, পারভেজ হোসেন ইমন, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলি, নুরুল হাসান সোহান, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, শেখ মেহেদি হাসান, রিশাদ হোসেন, নাসুম আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব, শরিফুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ও শামীম হোসেন পাটোয়ারী।