সূচকের পতনেই শুরু হয়েছে সপ্তাহের প্রথম দিনে শেয়ারবাজারের লেনদেন। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমার পাশাপাশি কমেছে সবকটি মূল্যসূচক। সেই সঙ্গে লেনদেন কমে ৩০০ কোটি টাকার নিচে নেমেছে। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমেছে। ফলে এ বাজারটিতে কমেছে সবকটি মূল্যসূচক। গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে চার কার্যদিবস শেয়ারবাজারে দরপতন হয়।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলিয়ে দাম বেড়েছে ১১০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের। বিপরীতে দাম কমেছে ২০৯টির। আর ৬৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৩ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৮৭২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সবকটি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে বিগত প্রায় ছয় মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন ২৬৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৩৬৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। এ হিসেবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ৯৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। লেনদেনের শীর্ষে ছিল ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার। ৩৬৫ টাকা থেকে বেড়ে ৩৭৮ টাকা ৬০ পয়সায় কোম্পানিটির ১৭ কোটি ১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ৫৩ লাখ টাকার। ৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং। অন্যদিকে সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৬২ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৪ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৭টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৯৯টির এবং ১৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১৩ কোটি ৮১ লাখ টাকা।