ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারত উভয় পক্ষই দুই দেশের জনগণের আকাক্সক্ষা পূরণ করে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে একসঙ্গে কাজ করবে। আমাদের সম্পর্ক অতীতের যৌথ ত্যাগ-তিতিক্ষা দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে ভবিষ্যতের নতুন আকাক্সক্ষা দ্বারা পরিচালিত হবে।
গতকাল ঢাকার ভারতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে মৈত্রী দিবস-এর ৫৪তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় হাইকমিশন জানান, ১৯৭১ সালে আজকের দিনে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম ও স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ভারত। বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতার ১০ দিন আগে দেওয়া এই সমর্থন একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন, যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং এর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিতে আরও গতি যোগ করে। এই দিনটিকে মৈত্রী দিবস হিসেবে পালন করে ভারতীয় হাইকমিশন। তিনি বলেন, মৈত্রী দিবস ঐতিহাসিক স্মৃতির চেয়েও বেশি কিছু। এটি দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে ভাগ করা ইতিহাস, মূল্যবোধ এবং পারস্পরিক সহানুভূতির প্রতীক। এই উদযাপনের উদ্দেশ্য হলো- দুই দেশের ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি এবং ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ভবিষ্যতের অংশীদারির প্রতি নবায়িত অঙ্গীকার।
হাইকমিশনার আরও বলেন, আজকের দিনটি ভারত ও বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি মাইলফলক, যা মুছে ফেলা যাবে না। ভারত সমতা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের সঙ্গে একটি স্থিতিশীল, ইতিবাচক, গঠনমূলক, দূরদর্শী এবং পারস্পরিক উপকারী সম্পর্ক চায়, যেখানে দুই দেশের জনগণই প্রধান অংশীদার। এরপর বাংলাদেশের শিল্পীরা এক মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক আয়োজন পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করে সৃষ্টি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং গান পরিবেশন করে রক ব্যান্ড দল ‘শিরোনমহীন’। এ ছাড়া ‘৭১ ইন সাইলেন্স’ শিরোনামে প্রতিবন্ধী-অন্তর্ভুক্ত একটি থিয়েটার পরিবেশিত হয়। অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা, সাংস্কৃতিক কর্মী, তরুণ এবং বাংলাদেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।