নানান নাটকীয়তা ও চড়াই-উতরাইয়ের পর আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ মজিবুর রহমান ইকবাল। তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এই মনোনয়ন আমার প্রতি নেতা-কর্মীদের ভালোবাসা ও অকুণ্ঠ সমর্থনের মূল্যায়ন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতাসহ পার্লামেন্টারি বোর্ডের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। গতকাল বিকালে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ৩৬ আসনে দলীয় প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পূর্বে স্থগিত থাকা কিশোরগঞ্জ জেলার দুটি আসনেই প্রার্থী দেওয়া হয়েছে এবার। এর মধ্যে নিজের মনোনয়ন লাভের খবর শুনে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন মজিবুর রহমান ইকবাল। কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির মনোনয়ন তালিকায় দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীরা ছাড়াও শরিক জোটের একাধিক নেতার নাম আলোচনায় ছিল। প্রথম ধাপে ঘোষিত তালিকায় এ আসনটি স্থগিত রাখায় রাজনীতির মাঠে নানা জল্পনাকল্পনা তৈরি হয়। এই পরিস্থিতিতে ইকবালকে বিএনপির মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে আন্দোলনে নামেন দুই উপজেলার নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা। তাদের সঙ্গে যোগ দেন সাধারণ জনগণ। বাজিতপুর থেকে নিকলী দীর্ঘ ২০ কিলোমিটার সড়কজুড়ে মানববন্ধন, ব্যাপক শোডাউন ও বিক্ষোভ মিছিলের মাধ্যমে তারা দলের কেন্দ্রকে চূড়ান্ত বার্তা প্রেরণ করেন। ২৭ নভেম্বর ইকবাল বাজিতপুরের ডাকবাংলো মাঠে জনসভা আহ্বান করলে সেখানে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে। লাখো জনতার ভালোবাসায় সিক্ত হন তিনি। এই জনসমুদ্র থেকে ইকবালের জন্য দলের কাছে ধানের শীষ প্রতীক চান নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ।
গতকাল দলীয় প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণার মধ্য দিয়ে সব জল্পনাকল্পনার অবসান হয়। নেতা-কর্মীদের আবেগকেই দল মূল্যায়ন করেছে বলে এলাকাবাসীর বিশ্বাস।
২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ছিলেন ইকবাল। দীর্ঘ দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে তিনি বাজিতপুর ও নিকলী এই দুই উপজেলার বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছেন। স্বভাবতই ইকবালকে ঘিরে নেতা-কর্মীরা নির্বাচনি বৈতরণি পার হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।