যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইউরোপ ‘খুব খারাপ দিকে এগোচ্ছে’। সোমবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
কয়েকদিন আগে প্রকাশিত নতুন মার্কিন নিরাপত্তা নীতিতেও ইউরোপের ওপর একই ধরনের সমালোচনা করা হয়েছিল। সেখানে বলা হয়, ইউরোপ অতিরিক্ত নিয়মকানুনে জর্জরিত এবং ব্যাপক অভিবাসনের কারণে ‘পরিচয় সংকটে’ পড়ছে।
ট্রাম্প বলেন, ইউরোপ নানা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, যা দীর্ঘমেয়াদে তাদের মানুষের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তার ভাষায়, ‘আমরা চাই ইউরোপ তার পরিচয় বজায় রাখুক। তারা এমন অনেক দিকে যাচ্ছে যা ভালো নয়।’
আলোচনায় উঠে আসে ইলন মাস্কের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’–কে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ১৪০ মিলিয়ন ডলার জরিমানার প্রসঙ্গও। ট্রাম্প জরিমানাটিকে ‘খারাপ সিদ্ধান্ত’ বলে মন্তব্য করেন। যদিও তিনি স্বীকার করেন, বিষয়টি তিনি পুরোপুরি জানেন না। মাস্ক অভিযোগ করেছিলেন, ইইউ তার ওপর ডিজিটাল নীতিমালা কঠোরভাবে প্রয়োগ করছে এবং এ কারণে তার প্ল্যাটফর্মকে টার্গেট করা হয়েছে।
ট্রাম্প জানান, মাস্ক এ বিষয়ে এখনো তার কাছে সাহায্য চাননি। তিনি বলেন, এটি ঠিক হয়নি বলে মনে করি। তবে বিষয়টি সম্পর্কে আরও জানতে হবে।
ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আরেকটি বড় মতপার্থক্য রয়েছে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে। ইউরোপের শঙ্কা—ওয়াশিংটন হয়তো এমন সমাধান চাপিয়ে দিতে চাইছে, যাতে ইউক্রেন রাশিয়ার কাছে কিছু এলাকা ছেড়ে দিতে বাধ্য হতে পারে। এ কারণে ট্রাম্প প্রশাসনের পরিকল্পনা নিয়ে ইউরোপে উদ্বেগ বাড়ছে।
এদিকে রাশিয়া ট্রাম্পের নতুন কৌশলকে স্বাগত জানিয়েছে। ক্রেমলিন জানিয়েছে, তাদের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন অবস্থান ‘অনেকটাই মিল রয়েছে’।
মাস্ক আগে থেকেই ইউরোপের অভিবাসন নীতি নিয়ে কড়া সমালোচনা করে আসছেন। ইইউ তার মন্তব্যকে ‘পুরোপুরি অযৌক্তিক’ বলে মন্তব্য করেছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল