পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বেনিনে সেনাবাহিনীর একটি অংশের অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে দেশটির সরকার। প্রতিবেশী দেশ নাইজেরিয়া জানিয়েছে, বেনিনের অনুরোধে সাড়া দিয়ে ‘অভ্যুত্থানকারী ষড়যন্ত্রকারীদের’ দমন করতে তারা সেখানে যুদ্ধবিমান ও স্থল সেনা পাঠিয়েছিল।
সোমবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। বলা হয়, নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবু বেনিনিজ বলেছেন, বিদ্রোহী সেনাদের অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা দমনে তিনি বেনিনে যুদ্ধবিমান ও সেনা পাঠান।
এর আগে, রবিবার এক বিবৃতিতে টিনুবুর কার্যালয় জানায়, বেনিনের প্রেসিডেন্ট প্যাট্রিস ট্যালনের সরকার তাৎক্ষণিক নাইজেরিয়ান বিমান সহায়তাসহ সাহায্যের জন্য দুই দফা অনুরোধ জানানোর পর তাতে সাড়া দেয় নাইজেরিয়া এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
বিবৃতি অনুযায়ী, টিনুবু প্রথমে নাইজেরিয়ার যুদ্ধবিমানগুলোকে বেনিনে প্রবেশ করে অভ্যুত্থানকারীরা যে জাতীয় টিভি এবং সামরিক শিবিরে সংগঠিত হয়েছিল সেখান থেকে তাদের হটিয়ে দেয়ার জন্য আকাশসীমা দখলের নির্দেশ দেন।
বেনিনের সরকার সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের সুরক্ষা এবং সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর নিয়ন্ত্রণে আবারও সহায়তা চাওয়ার পর পরে স্থল সেনা পাঠায় নাইজেরিয়া। এ কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার জন্য টিনুবু তার সেনাদের প্রশংসা করেছেন এবং বলেছেন যে তারা একটি প্রতিবেশী দেশকে স্থিতিশীল করতে সাহায্য করেছে।
বেনিনের প্রেসিডেন্ট ট্যালন জাতীয় টেলিভিশনে উপস্থিত হওয়ার পরপরই নাইজেরিয়ার এই বিবৃতি আসে। ট্যালন তার ভাষণে বলেন, সরকার উৎখাতের প্রচেষ্টা সফলভাবে প্রতিহত করেছে তার নিরাপত্তা বাহিনী।
‘ষড়যন্ত্রকারীদের’ শাস্তির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ট্যালন বলেন, নিরাপত্তা বাহিনী দৃঢ়ভাবে পাশে দাঁড়িয়েছে, আমাদের অবস্থান পুনরুদ্ধার করেছে এবং বিদ্রোহীদের দখলে থাকা জায়গা পরিষ্কার করেছে। বিশ্বাসঘাতকদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/শআ