কলকাতার সায়েন্স সিটি ময়দানে শুরু হয়েছে ২৪তম ‘ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল মেগা ট্রেড ফেয়ার’ (আইআইএমটিএফ)-২০২৫। পূর্ব ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্য মেলা হিসেবে পরিচিত এই আয়োজন চলবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। দ্য বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিসিআই) এবং জি এস মার্কেটিং অ্যাসোসিয়েটের যৌথ উদ্যোগে এটি আয়োজন করা হয়েছে।
শনিবার সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে মেলার উদ্বোধন করেন তৃণমূল বিধায়ক দেবাশীষ কুমার, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব রাজেশ পান্ডে, বিসিসিআই সভাপতি অভিজিৎ রায়, এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিল ফর হ্যান্ডিক্রাফ্টসের আহ্বায়ক ওপি প্রহ্লাদকর, জিএস মার্কেটিং অ্যাসোসিয়েটের সুপর্ণা দত্ত গুপ্ত ও নির্বাহী পরিচালক চিদ্রূপ শাহসহ অন্যান্য অতিথিরা।
আয়োজকরা জানান, এই মেলার প্রধান লক্ষ্য হলো কলকাতাকে ব্যবসা-বাণিজ্যের পছন্দের গন্তব্য এবং খুচরা বিক্রেতাদের আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্র হিসেবে তুলে ধরা।
এবারের ফোকাস কান্ট্রি থাইল্যান্ড ও তিউনিসিয়া। পার্টনার কান্ট্রি আফগানিস্তান ও ঘানা। পার্টনার স্টেট গুজরাট ও রাজস্থান; আর ফোকাস স্টেট মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশ।
মোট ১৭টি দেশ এবার অংশ নিচ্ছে মেলায়। পাশাপাশি ভারতের বিভিন্ন রাজ্যও অংশগ্রহণ করছে। খাদ্য, পোশাক, আসবাবপত্র, ইন্টেরিয়র, ইলেকট্রনিকস, লাইফ স্টাইল, স্বাস্থ্যসেবা, প্রসাধনী, হস্তশিল্পসহ বিভিন্ন বিভাগ মিলিয়ে প্রায় এক হাজার স্টল বসেছে। গত বছর প্রতিদিন প্রায় ৫০ হাজারের বেশি দর্শনার্থী মেলায় এসেছিলেন। এবারে তার চেয়েও বেশি ভিড় হবে বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ সরকারিভাবে এ মেলায় অংশ নেয়নি। তবে বেসরকারিভাবে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জিএস মার্কেটিং অ্যাসোসিয়েটের সভাপতি (সেলস) উৎপল রায় বলেন, “বাংলাদেশ প্রথমে সরকারিভাবে অংশগ্রহণের কথা জানালেও পরবর্তীতে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) স্থগিতাদেশ দেয়। তবে বাংলাদেশের একটি খ্যাতনামা বাণিজ্য সংস্থা তাদের দশটি প্রতিষ্ঠান ১৭টি স্টল নিয়ে এসেছে। এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশি স্টলগুলোতে দর্শকদের আগ্রহ খুবই বেশি। কলকাতা ও আশপাশে বসবাসকারী বহু মানুষের শিকড় বাংলাদেশে — এটিই বড় কারণ।”
ঢাকাই জামদানি শাড়ির একটি স্টলের কর্মকর্তা বলেন, “গত বছর আসা হয়নি। এবার এসেছি— আশা করছি বিক্রি ভালো হবে।”
আরেকটি স্টলের কর্মকর্তা বলেন, “আমরা দুই প্রতিবেশী দেশ। আমাদের ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হোক— এটাই চাই। আমরা এখানে এসেছি, এখানকার ব্যবসায়ীরাও যেন বাংলাদেশে যেতে পারে— এমন সুযোগ তৈরি হওয়া প্রয়োজন। অনেক প্রত্যাশা নিয়ে এসেছি, আশা করি ভালো কিছু হবে।”
বিডি প্রতিদিন/হিমেল