নিজের ক্ষমতা আরও পোক্ত করলেন আসিম মুনির। এবার তাকে ৫ বছরের জন্য দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি ফিল্ড মার্শাল মুনিরকে এই পদে বসান। ঠিক সেখানেই প্রশ্ন ওঠে, হুড়মুড় করে জেনারেল থেকে ফিল্ড মার্শাল, তারপর ধাপে ধাপে প্রতিরক্ষা প্রধান। চোখের পলকে এমন উন্নতির শিখরে আরোহন করা মুনির আসলে কোন পথে হাঁটছেন। ধীরে ধীরে তিনি কি পাকিস্তানের অঘোষিত সর্বোচ্চ নেতা হওয়ার পথেই হাঁটছেন?
মুনিরকে চিফ অব আর্মি স্টাফ (সিওএএস) ও চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) পদ দিতে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ যে সুপারিশ করেছিলেন, তা অনুমোদন করা হয়েছে, বৃহস্পতিবার এক্সে দেওয়া এক পোস্টে এমনটাই বলেছে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়। এনডিটিভি লিখেছে, মুনিরের হাতে আরও ক্ষমতা দিতে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ দ্বিধান্বিত, এমন গুঞ্জনের মধ্যেই তাকে সিডিএফ পদে বসানো হল।
পাকিস্তানের প্রথম প্রতিরক্ষা বাহিনী প্রধান নিয়োগের বিষয়টি গত সপ্তাহেই জানানোর কথা ছিল শরিফ সরকারের। সেদিনই সেনাপ্রধান পদে মুনিরের তিন বছরের মেয়াদ শেষ হয়েছিল। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর কমান্ডকে আরও কেন্দ্রীভূত করতে গত মাসে পাস হওয়া পাকিস্তানের ২৭তম সংশোধনীতে এই সিডিএফ বা প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান পদটি সৃষ্টি করা হয়।
প্রেসিডেন্ট জারদারি পাকিস্তানের বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আহমাদ বাবর সিধুর মেয়াদও দুই বছর বাড়িয়েছেন, যা আগামী বছরের ১৯ মার্চ থেকে কার্যকর হবে। মুনির চলতি বছর পাকিস্তানের দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে ফিল্ড মার্শাল খেতাব পেয়েছেন।এর আগে ১৯৬৫ সালে ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া জেনারেল আইয়ুব খানকে ওই খেতাব দেওয়া হয়েছিল।
সবমিলিয়ে মুনিরের এমন উত্থানকে স্বাভাবিক চোখে দেখছেন না অনেক বিশ্লেষক। তারা বলছেন, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পতন, তাকে কারারুদ্ধ করে রাখা, সেই সাথে শাহবাজ-বিলওয়াল ভুট্টোদের ক্ষমতায় বসানো, এরপর একজন জেনারেলের ফিল্ডমার্শাল বনে যাওয়া; সেখান থেকে প্রতিরক্ষা প্রধান সবকিছুই একই সূত্রে গাঁথা। হয়তো বড় কিছুই ঘটতে যাচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল