বিশ্ব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং বাজারে তুমুল আলোচনার জন্ম দিয়েছে চীনের উম্মোচিত ‘অত্যন্ত সস্তা’ দরের হাইপারসনিক অস্ত্র। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের সামরিক ভাষ্যকাররা এত কম খরচে তৈরি এই সমরাস্ত্রকে ‘অত্যন্ত সস্তা’ বা ‘ডার্ট চিপ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
গত সপ্তাহে চীনা মহাকাশ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান লিংকং তিয়ানসিং ক্ষেপণাস্ত্রটি উন্মোচন করে। তাদের মতে, নতুন প্রজন্মের এই অস্ত্রের সর্বোচ্চ গতি ম্যাক ৭-অর্থাৎ শব্দের গতির সাতগুণ। পাশাপাশি ক্ষেপণাস্ত্রটি সর্বোচ্চ এক হাজার ৩০০ কিলোমিটার (৮০০ মাইল) দূরত্বে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।
বিশ্লেষকদের মতে, ‘হাইপারসনিক প্রযুক্তি এখনো বিশ্বের খুব কম দেশ আয়ত্ত করতে পেরেছে। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীন-এই তিন পরাশক্তির মধ্যেই প্রযুক্তির প্রতিযোগিতা সবচেয়ে বেশি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এসএম-৬ নেভাল ইন্টারসেপ্টরের দাম প্রায় ৪১ লাখ ডলার। অন্যদিকে থাড ব্যবস্থার প্রতিটি ইন্টারসেপ্টরের খরচ পড়ে ১ কোটি ২০ লাখ থেকে ১ কোটি ৫০ লাখ ডলারের মধ্যে।
তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ সতর্ক করেছেন, এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র সস্তায় বিক্রি হলে আঞ্চলিক অস্ত্র প্রতিযোগিতা আরও তীব্র হতে পারে এবং একাধিক সংঘাতপ্রবণ অঞ্চলে সামরিক উত্তেজনা বেড়ে যেতে পারে।
রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী সিসিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সামরিক ভাষ্যকার ওয়েই ডংজু বলেন, যদি এই মিসাইল আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা বাজারে আনা হয়, তবে এটি অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক হবে।
তিনি আরও বলেন, অনেক দেশের এখনো নিজস্ব হাইপারসনিক মিসাইল তৈরির সক্ষমতা নেই। দীর্ঘ পাল্লা, উচ্চ ধ্বংসক্ষমতা এবং শক্তিশালী পেনিট্রেশন সক্ষমতার পাশাপাশি অত্যন্ত সস্তা দামের কারণে এটি একটি জনপ্রিয় পণ্যে পরিণত হতে পারে।
সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
বিডি প্রতিদিন/কামাল