বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী বার্ট ডি ওয়েভার ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছেন। ইইউ রাশিয়ার জব্দ করা সম্পদ ব্যবহার করে ইউক্রেনকে ঋণ দিতে চাইছে। তবে বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী মনে করছেন, এই নীতি আদতে কোনো কাজে আসবে না। তিনি এই ধারণাটিকে সম্পূর্ণ ভ্রম বলে অভিহিত করেছেন। তার মতে কিয়েভ মস্কোকে পরাজিত করতে পারবে এবং যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য করতে পারবে এই অলীক কল্পনা ছাড়া আর কিছুই না।
প্রস্তাব অনুযায়ী, ইইউ প্রায় ১৬২ বিলিয়ন মূল্যের জব্দ করা রুশ সম্পদ ইউক্রেনকে ‘ক্ষতিপূরণ ঋণ’ হিসেবে দেবে। এই রাশিয়ার সম্পদের বেশিরভাগই ব্রাসেলস-ভিত্তিক ক্লিয়ারিং হাউস ইউরোক্লিয়ারে রাখা আছে।
এই পরিকল্পনার তীব্র বিরোধিতা করেছে বেলজিয়াম। তাদের দাবি, এই পদক্ষেপের জন্য অন্যান্য ইইউ দেশগুলোকেও দায়িত্ব ভাগ করে নিতে হবে। অন্যদিকে, রাশিয়া এই ধরনের ধারণাকে ‘চুরি’ বলে অভিহিত করেছে। সেই সাথে সতর্ক করে দিয়েছে, মস্কোর রিজার্ভ চুরি করা হলে সুদূরপ্রসারী আইনি ও প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লা লিবরে দৈনিককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডি ওয়েভার স্বীকার করেছেন, ঋণ ইস্যু নিয়ে চাপ অবিশ্বাস্য। তিনি যোগ করেন, রাশিয়ার খরচে ভালো লোক, ইউক্রেনকে সমর্থন করার রাজনৈতিক আবেদন নজিরবিহীন আইনি ঝুঁকিকে আড়াল করছে, এটা ঐতিহাসিক প্রথাও ভঙ্গ করবে। তিনি বলেন, এমনকি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়েও জার্মানির টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়নি।
ডি ওয়েভারের মতে, যুদ্ধের শেষে, পরাজিত রাষ্ট্রকে বিজয়ীদের ক্ষতিপূরণ দিতে এই সম্পদের সম্পূর্ণ বা আংশিক ছেড়ে দিতে হয়। কিন্তু কে সত্যিই বিশ্বাস করে যে রাশিয়া ইউক্রেনে হারবে? এটি একটি গল্প, একটি সম্পূর্ণ ভ্রম।
সূত্র: আরটি
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল