ইসরায়েলকে সিরিয়ায় হামলা চালাতে নিষেধ করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আবারও সিরিয়ায় দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
নতুন এই অভিযানে কুনেইত্রা প্রদেশে একটি পরিত্যক্ত সামরিক চৌকি উড়িয়ে দেওয়া হয়।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আল-ইখবারিয়া জানিয়েছে, ইসরায়েলের দুটি ট্যাঙ্ক ও দশটি সামরিক যান দক্ষিণ কুনেইত্রার সামদানিয়া আল-শারকিয়া গ্রামে প্রবেশ করে এবং সেখানে পুরোনো পরিত্যক্ত স্থাপনাটি ধ্বংস করে। এই হামলা নিয়ে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বা সিরীয় কর্তৃপক্ষ কেউই তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য করেনি।
গত ২৪ ঘণ্টায় একই এলাকার দুটি গ্রামে অভিযান চালায় ইসরায়েল। বিগত কয়েক মাস ধরে সিরিয়ার দক্ষিণে প্রায় প্রতিদিনই এমন হামলা চালিয়ে আসছে দেশটি।
সোমবার সিরিয়া ইস্যুতে ইসরায়েলকে রয়েসয়ে চলার বার্তা দিয়েছিলেন ট্রাম্প। বলেছিলেন, “সিরিয়ার সঙ্গে সংলাপ বজায় রাখা ইসরায়েলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এমন কিছু যেন না ঘটে যা সিরিয়ার একটি সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।”
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমাদ আল-শারার প্রশংসা করে ট্রাম্প বলেন, “তিনি (শারা) শান্তি প্রতিষ্ঠার অনুকূল পরিবেশ গড়তে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন।”
তিনি শারার শাসনকে সিরিয়া পুনর্গঠনের একটি ‘ঐতিহাসিক সুযোগ’ হিসেবে বর্ণনা করেন।
সিরীয় সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে ইসরায়েল দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোতে এক হাজারের বেশি বিমান হামলা এবং ৪০০-রও বেশি স্থল অভিযান পরিচালনা করেছে।
গত বছর বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর ইসরায়েল জাতিসংঘের পর্যবেক্ষণে থাকা বাফার জোন দখল করে গোলান মালভূমিতে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ আরও বাড়ায়। এটি ১৯৭৪ সালের বিচ্ছিন্নতা চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন। সূত্র: টিআরটি ওয়ার্ল্ড
বিডি প্রতিদিন/একেএ