২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে পাখির চোখ করছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। তারা এবার পশ্চিমবঙ্গ দখলের পরিকল্পনা করছে। তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও ছেড়ে দেয়ার পাত্র নন। বড় প্রতিবাদ মিছিল থেকে বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলে তৃণমূল প্রধান ভবিষ্যদ্বাণী করেন, পশ্চিমবঙ্গ দখল করতে গিয়ে কেন্দ্রের শাসক দল তাদের শক্ত ঘাঁটি গুজরাট হারাতে চলেছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতার দাবি করেন, আমি এই ভবিষ্যদ্বাণী করছি... বিজেপি গুজরাটে পরাজিত হতে চলেছে। পশ্চিমবঙ্গে জিততে গিয়ে তারা গুজরাটও খোয়াবে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিজের রাজ্য গুজরাটে ১৯৯০ সাল থেকে বিজেপি নিরঙ্কুশ ক্ষমতা ধরে রেখেছে।
মমতা এই দিন তার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় জালিয়াতির অভিযোগও তোলেন। সম্প্রতি বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের (এনডিএ) বিপুল জয়কেও তিনি সন্দেহের চোখে দেখেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বিহারের নারীদের জন্য নির্বাচনের ঠিক আগে ঘোষিত ১০ হাজার রুপি ভাতা প্রদানের বিষয়টিও টেনে আনেন।
বিজেপির বিরুদ্ধে মমতার আক্রমণের মূল লক্ষ্য ছিল আসন্ন পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, আসাম এবং কেরালা নির্বাচনের আগে তড়িঘড়ি বিশেষ নিবিড় পুনর্বিবেচনা বা স্পেশাল ইন্টেন্সিভ রিভিশনের মাধ্যমে ভোটার তালিকা সংশোধনের প্রক্রিয়া। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেন এত তাড়াহুড়ো করে এসআইআর করা হচ্ছে? নির্বাচনের ঠিক আগে কেন এসআইআর করার প্রয়োজন পড়ল? তৃণমূলের পাশাপাশি অন্যান্য বিরোধী দলগুলোরও অভিযোগ, এই প্রক্রিয়ার আড়ালে বিজেপি বিরোধী-সমর্থক প্রান্তিক এবং নিপীড়িত সম্প্রদায়ের ভোটারদের অনুপ্রবেশকারী অজুহাতে তালিকা থেকে বাদ দিচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, যদি সত্যিই সীমান্ত এলাকায় এতকাল অবৈধ অভিবাসীরা থেকে থাকেন, তবে আন্তর্জাতিক সীমান্ত পাহারার দায়িত্ব কার ছিল? বিমানবন্দর এবং কাস্টমস সবই তো কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণে। তিনি নিজের দলের কর্মীদের উদ্দেশে আশ্বাস দেন, যতদিন আমি আছি, ততদিন আমি তাদের আপনাদের ছুঁড়ে ফেলতে দেব না।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল