মিসর, লেবানন ও জর্ডানে সক্রিয় মুসলিম ব্রাদারহুডের বিভিন্ন শাখা ও গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এসব গোষ্ঠীকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করতে একটি অধ্যাদেশ জারি করেছেন তিনি।
কারণ হিসেবে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, এসব সংগঠন ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে সমর্থন দিচ্ছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ ও মিত্রদের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছে।
ওয়াশিংটন ইসরায়েলের বিভিন্ন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান জোরদার করার অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নিয়েছে। ডিক্রিতে দাবি করা হয়, জর্ডানের মুসলিম ব্রাদারহুড নেতারা হামাসকে ‘বিভিন্ন বস্তু ও সামগ্রী দিয়ে সহায়তা’ দিয়েছে। লেবাননের শাখা আল-জামাআ আল-ইসলামিয়া-হিজবুল্লাহ ও হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে একাত্ম হয়েছিল। এছাড়া এক মিসরীয় ব্রাদারহুড নেতার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের ওপর সহিংস হামলার ডাক দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে, যদিও হোয়াইট হাউস এ বিষয়ে স্পষ্ট তথ্য দেয়নি।
ওয়াশিংটন ইসরায়েলের বিভিন্ন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান জোরদার করার অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নিয়েছে। ডিক্রিতে দাবি করা হয়, জর্ডানের মুসলিম ব্রাদারহুড নেতারা হামাসকে ‘বিভিন্ন বস্তু ও সামগ্রী দিয়ে সহায়তা’ দিয়েছে। লেবাননের শাখা আল-জামাআ আল-ইসলামিয়া-হিজবুল্লাহ ও হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে একাত্ম হয়েছিল। এছাড়া এক মিসরীয় ব্রাদারহুড নেতার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের ওপর সহিংস হামলার ডাক দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে, যদিও হোয়াইট হাউস এ বিষয়ে স্পষ্ট তথ্য দেয়নি।
হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মুসলিম ব্রাদারহুডের আন্তঃসীমান্ত নেটওয়ার্ককে মোকাবিলা করছেন, যারা সন্ত্রাসবাদ এবং অস্থিতিশীলতা ছড়ানোর মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ ও মিত্রদের ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
ডিক্রির নির্দেশনা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীকে ৩০ দিনের মধ্যে গোয়েন্দা প্রধানের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রতিবেদন দিতে হবে। এরপর ৪৫ দিনের মধ্যে এসব শাখা/সংগঠনকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা করা হতে পারে। প্রক্রিয়াটি সাধারণত আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়েই হয়, তাই ঘোষণাটি আরও দ্রুতও আসতে পারে।
এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হলে সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীগুলোকে কোনও ধরনের সহায়তা দেওয়া বেআইনি হবে। তাদের বর্তমান ও সাবেক সদস্যদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশও প্রায় নিষিদ্ধ হয়ে যাবে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে তাদের আর্থিক উৎস সংকুচিত করা হবে।
হোয়াইট হাউস আরও জানিয়েছে, সংগঠনগুলোকে ‘বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসী’ হিসেবেও চিহ্নিত করার প্রচেষ্টা চলছে। ১৯২৮ সালে প্রতিষ্ঠিত মুসলিম ব্রাদারহুড বহু দেশেই রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে কার্যক্রম চালায়। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে দলটি নির্বাচনে অংশ নেয় এবং শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক অংশগ্রহণের কথা বললেও অনেক দেশে এটি নিষিদ্ধ।
মার্কিন ডানপন্থী রাজনীতিকদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত এসেছে। কিন্তু সমালোচকরা বলছেন, এটি মধ্যপ্রাচ্যে রাজনৈতিক মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর আরও দমন-পীড়নকে আইনগত করতে পারে। এমনকি এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম অধিকারকর্মীদের বিরুদ্ধেও ব্যবহারের ঝুঁকি রয়েছে।
কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশন্স-এর নির্বাহী পরিচালক নিহাদ আওয়াদ বলেন, আমেরিকান মুসলিম সংগঠনগুলোর ওপর এর প্রভাব পড়ার কথা নয়। তিনি জানান, আমাদের সংগঠনগুলো যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক, এবং আমাদের মানবিক কার্যক্রম বিশ্বের লাখো মানুষের উপকার করে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, ডানপন্থী ইসলামবিরোধী গোষ্ঠীগুলো দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি মুসলিম সংগঠনই ব্রাদারহুডের আড়ালে এমন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়াচ্ছে। সূত্র: আল-জাজিরা
বিডি প্রতিদিন/একেএ