শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পরও নিজের পছন্দের বিষয় খুঁজতে গিয়ে এক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন আবু বকর সিদ্দিক। কৃষির মধ্যে থাকা বায়োটেক, মাইক্রোবায়োলজি, মেটা-জিনোমিক্সই এখন তার প্রধান আগ্রহের জায়গা। বর্তমানে তিনি সুইডেনের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়ইনফরমেটিশিয়ান হওয়ার পাশাপাশি গবেষক ও শিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন। এর পাশাপাশি তিনি এখন বায়োইনফরমেটিক্সকে শিক্ষার্থীদের জন্য আরও সহজ করতে কাজ করছেন। নিজের অবসরকালীন সময় থেকে শুধু বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও গবেষকদের প্রশিক্ষণে বিভিন্ন কোর্স, ওয়ার্কশপ, সেমিনার পরিচালনা করছেন। শেকৃবি থেকে সুইডেনের শিক্ষক ও গবেষক হওয়ার যাত্রার গল্পে তিনি বলেন, ‘শেকৃবির লাইব্রেরির নীরবে বসে নিজের তৈরি স্বপ্ন আজ অনেকটাই পূরণের পথে। কৃষিকে যখনই আঁকড়ে ধরেছি এর মধ্যকার ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জিনিস আমার নজরে আসে এবং আমার ভালো লাগার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে। তখনই স্বপ্ন দেখি বড় গবেষক হওয়ার। এখন আমি অণুজীবের জীববৈচিত্র্য, ই-ডিএনএ, শেওলার জীবনচক্রের পরিবর্তন ও কম্পিউটারভিত্তিক জীববিজ্ঞান নিয়ে সুইডেনের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োইনফরমেটিশিয়ান ও গবেষক হিসেবে কাজ করছি।’ গবেষণার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘গবেষণার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো বিজ্ঞানকে সঠিক প্রশ্ন করা এবং বিশ্লেষণ করা। তথ্য সংগ্রহ নয়, বরং তথ্যকে কী প্রশ্ন করছেন সেটাই মুখ্য। শেল, আর, পাইথন ইত্যাদি কম্পিউটার ভিত্তিক বিভিন্ন সফটওয়্যার শেখা, শিক্ষক-গবেষকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা, বিভিন্ন কনফারেন্সে উপস্থাপন- এসব বিষয় আমার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার গড়তে সাহায্য করেছে। বর্তমানে আমি প্রকৃতির জীববৈচিত্র্য, ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়া-ছত্রাকের প্রভাব ও গাছের ঋতুভিত্তিক পরিবর্তন নিয়ে জৈবিক ডাটা নির্ভর গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছি। ভবিষ্যতে ই-ডিএনএভিত্তিক মনিটরিং সরঞ্জাম, জলবায়ু পরিবর্তনে জীবের জীবনচক্র পরিবর্তনের মডেল ও বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও গবেষকদের নিয়ে আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক গড়ার ইচ্ছা রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘অবসর সময়ে প্রোগ্রামিং, বায়ইনফরমেটিক্স, রিসার্চ ও পাব্লিকেশিন, একাডেমিক রাইটিং, হায়ার স্টাডি এব্রড, ক্যারিয়ার গাইডলাইন নিয়ে শেকৃবি ছাড়াও দেশের বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের নিয়ে ওয়ার্কশপ পরিচালনা করি।’ সুইডেনের শিক্ষা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সুইডেনের শিক্ষাক্রমে মেধার ও অভিজ্ঞতার মূল্যায়ন, উন্মুক্ত ও পারস্পরিক সহযোগিতার পরিবেশ এবং কাজ ও জীবনযাপনের ভারসাম্য গবেষণাকে এগিয়ে নিতে সহায়ক। দেশে স্নাতক-স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ‘ফ্লিপড ক্লাসরুম’ টেকনিকে শিখানো, প্রাক্টিক্যাল লেখার বদলে ক্রিয়েটিভ অ্যাসাইনমেন্ট, গবেষণা পদ্ধতি বোঝানো ও রিপোর্ট লেখালেখি বাধ্যতামূলক করা, ছাত্রদের নেতৃত্বে ছোট ছোট প্রজেক্ট, উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কম্পিউটিং ব্যবস্থা, টেকনোলজি ও শিক্ষাবিষয়ক বিভিন্ন কর্মশালার আয়োজন, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও স্বল্পমেয়াদি ও কার্যকরী কোর্স চালু করা উচিত।
শিরোনাম
- মগবাজার, মৌচাক ও মোহাম্মদপুরে ককটেল বিস্ফোরণ
- মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা আজ, কেন্দ্রের গেট বন্ধ হবে সাড়ে ৯টায়
- খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সর্বশেষ অবস্থা জানাল মেডিকেল বোর্ড
- আমরা এখনো সিরিয়াস না হলে দেশের অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন হবে: তারেক রহমান
- যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গীদের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক পেছাল
- মাদকের টাকার জন্য নিজের ঘরে আগুন দিল যুবক
- তানজানিয়ায় নির্বাচনী সহিংসতা, দুই হাজারের বেশি নিহত
- লালবাগে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
- এশিয়া কাপের হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী হাকিম
- মাদারীপুরে আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন
- জবিতে তিন দফা দাবিতে ভিসি ভবন ঘেরাওয়ের হুশিয়ারি
- তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে খেলাফত মজলিস
- সিরিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ অনিবার্য: ইসরায়েলি মন্ত্রী
- ভেনেজুয়েলার ন্যাশনাল গার্ড মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে: জাতিসংঘ
- জাতি একটি ভালো নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে: দুলু
- রেকর্ড ৯০১ বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা ব্যয় বিল পাস যুক্তরাষ্ট্রের
- মাইজভাণ্ডারী যুব ফোরামের উদ্যোগে ‘ক্যারিয়ার গাইডেন্স’ সেমিনার
- লালমনিরহাটে জন্মান্ধ হাফেজার পাশে বিএনপি নেতা দুলু
- চীন-ভারতসহ কয়েকটি দেশের পণ্যে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্কারোপ মেক্সিকোর
- বরিশালে গণতান্ত্রিক যুক্ত ফ্রন্টের মতবিনিময় সভা