আইভিএফ-জালিয়াতি মামলায় বলিউড পরিচালক বিক্রম ভাটকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, রাজস্থান পুলিশ ও মুম্বাই পুলিশের যৌথ অভিযানে ভাটকে তাঁর শ্যালিকার বাসা থেকে ধরা হয়। রাজস্থান পুলিশ বান্দ্রা আদালত থেকে ট্রানজিট রিমান্ড চেয়ে উদয়পুরে তাকে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।
প্রায় এক সপ্তাহ আগে উদয়পুর পুলিশ বিক্রম ভাট, তাঁর স্ত্রী শ্বেতাম্বরি ভাট ও আরও ছয়জনের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করে। অভিযোগে বলা হয়, তাঁরা ইন্দিরা গ্রুপ অব কোম্পানিজের প্রতিষ্ঠাতা চিকিৎসক অজয় মুরদিয়ার সঙ্গে মিলে ৩০ কোটি রুপির প্রতারণা করেছেন। নোটিশে অভিযুক্তদের ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে উদয়পুর পুলিশের সামনে হাজির হতে বলা হয়েছিল এবং তাঁদের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
গত ২০ দিনে উদয়পুরে ৩০ কোটি রুপি প্রতারণার অভিযোগে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়। এফআইআরে বিক্রম ভাট, শ্বেতাম্বরি ভাটসহ আটজনের নাম উল্লেখ ছিল। অভিযোগে বলা হয়েছে, দম্পতি মুরদিয়াকে ২০০ কোটি রুপি আয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রলুব্ধ করেছিলেন। মামলার তদন্ত করছে ভোপালপুরা পুলিশ।
মুরদিয়া তাঁর প্রয়াত স্ত্রীর ওপর একটি বায়োপিক তৈরি করতে চেয়েছিলেন এবং সাহায্যের জন্য দিনেশ কাটারিয়ারকে যোগাযোগ করেন। কাটারিয়ার পরামর্শে গত বছরের ২৫ এপ্রিল মুম্বাইয়ের বৃন্দাবন স্টুডিওতে গিয়েছিলেন। সেখানে কাটারিয়া তাঁর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন পরিচালক বিক্রম ভাটকে।
সেই বৈঠকে ভাট জানালেন, পুরো চলচ্চিত্র নির্মাণের দায়িত্ব তিনি নেবেন এবং রূপি পাঠানোর নির্দেশ দেন। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, ছবির কাজে তাঁর স্ত্রী ও কন্যা ও যুক্ত থাকবেন। এই লেনদেনের জটিলতাই তৈরি করেছে ৩০ কোটি রুপি প্রতারণার অভিযোগ।
বিডি প্রতিদিন/মুসা