বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা-২ আসনের ধানের শীষ প্রার্থী আমানউল্লাহ আমান বলেছেন, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং আগামী নির্বাচন ও সংকট মোকাবিলায় দেশের জন্য খালেদা জিয়ার নেতৃত্ব অপরিহার্য। খালেদা জিয়া বাংলাদেশের জাতীয় ঐক্যের প্রতিচ্ছবি।
সোমবার দুপুরে ঢাকার কেরানীগঞ্জের নয়াবাজার ডিগ্রি কলেজ শাখা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আয়োজনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল ও নবীনবরণে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমানউল্লাহ বলেন, গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠায় বেগম খালেদা জিয়া এক অবিস্মরণীয় নেতৃত্বের প্রতীক। তিনি আজীবন দেশের মানুষের ভোটাধিকার, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আপোষহীনভাবে লড়াই করেছেন। বর্তমানে তিনি গুরুতর অসুস্থ। এই সংকটময় সময়ে আমরা আল্লাহর দরবারে তার দ্রুত আরোগ্য ও দীর্ঘায়ুর জন্য প্রার্থনা করছি। দেশনেত্রী কেবল একটি দলের নেত্রী নন, তিনি সমগ্র জাতির আশা ও আকাঙ্ক্ষার প্রতীক।
তিনি আরও জানান, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনা করে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। সরকারের পক্ষ থেকে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য সকল প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করা হয়েছে এবং সার্বক্ষণিকভাবে তার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নজরদারিতে রাখা হচ্ছে।
আমানউল্লাহ বলেন, এই সংকটময় সময়ে খালেদা জিয়ার সুস্থতা দেশের গণতন্ত্র ও জাতীয় ঐক্য রক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সকলের প্রার্থনা তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে আমরা আশা করি।
তিনি আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়া তাঁর রাজনৈতিক জীবনে জেল, নির্যাতন ও নানামুখী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দেশপ্রেম ও সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করে চলেছেন। কখনও নিজের স্বার্থে আপস করেননি, দেশের বাইরে গিয়ে লুকোননি। সবসময় নেতাকর্মীদের পাশে থেকেছেন। তার নেতৃত্ব ও যোগ্যতার কারণে তিনি আজ দেশের প্রকৃত রাজনৈতিক অভিভাবক হিসেবে স্বীকৃত। তিনি জাতীয় ঐক্যের প্রতীক এবং দলমত নির্বিশেষে গণতন্ত্রকামী সকলের কাছে প্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
নয়াবাজার ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সোহাগ হাসান শান্তর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার ইরফান ইবনে আমান অমি। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জ মডেল উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শামীম হাসানসহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত