বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ভোটাধিকারের মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করা সম্ভব। ভোটাধিকার গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে এবং দেশের অগ্রগতির পথে নেতৃত্ব দেয়। দেশের উন্নয়ন ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ অপরিহার্য। জনগণ যদি তাদের ভোটাধিকার যথাযথভাবে প্রয়োগ করে, তবে দেশ সঠিক পথে এগিয়ে যাবে এবং গণতন্ত্রের ভিত্তি আরও সুদৃঢ় হবে।
বুধবার বিকেল ৪টায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা শুভাঢ্যা ইউনিয়নের বিভিন্ন পাড়া–মহল্লায় নির্বাচনী গণসংযোগকালে তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, গত ১৭ বছর ধরে বিএনপি জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছে। কিন্তু আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
তবে কোনো ষড়যন্ত্রেই নির্বাচন ঠেকানো সম্ভব হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ঘোষণার ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর নির্বাচন কমিশন আগামী ডিসেম্বরেই তফসিল ঘোষণা করবে।
ধর্ম নিয়ে রাজনৈতিক ব্যবসা আর চলবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইসলাম কোনো রাজনৈতিক হাতিয়ার নয়। যারা ধর্মের নামে রাজনীতি করে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চায়, তাদের ভোটের মাধ্যমেই প্রতিহত করতে হবে। তিনি দাবি করেন, জনগণ এখন আগের চেয়ে বেশি সচেতন, কেউ ধর্ম বা চেতনার নামে প্রতারণা করতে এলে তারা তা প্রত্যাখ্যান করবে।
গয়েশ্বর বলেন, ১৯৭১-এর ইতিহাস জনগণ ভুলে যায়নি। যারা ধর্মের অপব্যবহার করে ভোটের মাঠে বিভাজন তৈরির চেষ্টা করে, জনগণই তাদের রুখে দেবে। সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দল ও জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে এবং সেই পথেই ধানের শীষ বিজয়ের দিকে এগিয়ে যাবে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত