সার কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের দাম ঘনমিটার প্রতি ১৩.২৫ পয়সা বাড়িয়ে ২৯ টাকা ২৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগে ঘনমিটার প্রতি এই গ্যাসের দাম ছিল ১৬ টাকা।
রবিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন দর ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
নতুন এ দর আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর করার আদেশ দিয়েছেন চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ।
পেট্রোবাংলা এবং গ্যাসের বিতরণ কোম্পানিগুলো ১৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০ টাকা করার আবেদন করেছিল। সেই প্রস্তাবের উপর গণশুনানি গ্রহণ করা হয় গত ৬ অক্টোবর।
পেট্রোবাংলার প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, দাম বাড়ানো হলে বাড়তি ৭ কার্গো এলএনজি আমদানি করে সারে সরবরাহ করা হবে। ৬ মাস (অক্টোবর-মার্চ) পুরো মাত্রায় (২৫০ মিলিয়ন ঘনফুট) গ্যাস সরবরাহ দেওয়া হবে। অবশিষ্ট ৬ মাসের মধ্যে এপ্রিল-মে ১৬৫ মিলিয়ন হারে, জুনে ১৭৫ মিলিয়ন এবং জুলাই-সেপ্টেম্বর ১৩০ মিলিয়ন হারে গ্যাস সরবরাহ দেবে।
গণশুনানিতে বিসিআইসির পরিচালক (পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন) দেলোয়ার হোসেন অভিযোগ করেন, ২০২২ সালে একইভাবে গ্যাস সরবরাহ বাড়ানোর কথা বলে ৪.৪৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৬ টাকা করা হয়, কিন্তু নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ পাওয়া যায়নি। বরং অনেকখানি কমেছে সরবরাহ। তবে যদি পুরোমাত্রায় গ্যাস দেওয়া হয় তাহলে ২০ লাখ টনের ওপরে সার উৎপাদন করা সম্ভব। আর ২০ লাখ টন সার উৎপাদন করা গেলে গ্যাসের ৩০ টাকা হলেও আমদানির তুলনায় কম দাম পড়বে। বছরে ৩০ থেকে ৩২ লাখ টন ইউরিয়া সার জোগান দিতে হয়। গ্যাসের অভাবে আমদানি করে ১৬ থেকে ২১ লাখ টন জোগান দিতে হয়।
তিনি বলেছিলেন, গ্যাসের দাম যদি ৩০ টাকা হয়, আর যদি ২০ লাখ টন উৎপাদন করতে পারি, তাহলে কেজি প্রতি সারের উৎপাদন খরচ পড়বে ৪৬ টাকার মতো। সেখানে আমদানিতে ৬১ টাকার মতো ব্যয় হচ্ছে। বর্তমানে প্রতি কেজি ইউরিয়া সারের উৎপাদন খরচ পড়ছে ৩৮ টাকার মতো। বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৭ টাকা দরে। আর বিসিআইসি ডিলারদের কাছে বিক্রি করছে ২৫ টাকা দরে। এতে সৃষ্ট ট্রেড গ্যাপ কেজিতে ১৩ টাকা ভর্তুকি হিসেবে প্রদান করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিইআরসির সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাক, মিজানুর রহমান, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব) শাহিদ সারওয়ার, সৈয়দা সুলতানা রাজিয়া প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/কেএ
