মানবিকতার নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে মহানন্দা ব্যাটালিয়ন, ৫৯ বিজিবি এবং ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। সোমবার রাতে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করা শিবগঞ্জ উপজেলার জমিনপুর গ্রামের তারা বানুর (৭৫) মরদেহ দেখার সুযোগ পেয়েছেন তার ভারতীয় মেয়ে মালেকা বেগম (৪০) এবং আত্মীয়রা।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ভারতের মালদহ জেলার কালিয়াচক থানার দুশতদিঘী গ্রামে বসবাসকারী মেয়ে ও আত্মীয়রা বিএসএফের মাধ্যমে বিজিবির কাছে মরদেহ দেখার জন্য আবেদন করেন। এ অনুযায়ী, মহানন্দা ব্যাটালিয়ন, ৫৯ বিজিবি তাৎক্ষণিকভাবে মরদেহ দেখানোর অনুমতি দেন। মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৮টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত শিবগঞ্জ সীমান্তের কিরণগঞ্জ বিওপি’র সীমান্ত পিলার ১৭৯/৩-এস এর কাছে মরদেহ প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়, যেখানে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর উপস্থিতি ছিল।
ভারতীয় আত্মীয়রা শেষবারের মতো মরদেহ দেখে বিজিবি ও বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
মহানন্দা ব্যাটালিয়ন, ৫৯ বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্নেল গোলাম কিবরিয়া জানান, বিজিবি সবসময় মানবিক কাজে সহানুভূতিশীল ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। এর আগেও এই ব্যাটালিয়ন কয়েকজনের মরদেহ দেখার ব্যবস্থা করেছিল।
বিডি-প্রতিদিন/সুজন